1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

এবার বেশি শীতের সম্ভাবনা?

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯২ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট :
হয়ত খেয়াল করেছেন, ঢাকায় গত কদিন ধরেই ঘরে তেমন একটা ফ্যান চালাতে হচ্ছে না, চালালেও হয়ত কম গতিতে। আবার রাত বেড়ে গেলে গায়ে একটু কাঁথা জড়াতে ইচ্ছা করে।

উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই ঠান্ডা পড়ে গেছে। ভোরের দিকে ভারি কিছু গায়ে জড়াতে শুরু করেছেন অনেকেই।

বাংলাদেশে ইদানীং বৃষ্টির মৌসুম ধীরে ধীরে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। শীত আসতে একটু সময় নেয়।

 

আর ঢাকাতে ভরা শীত মৌসুমেও শীতের দেখা মেলে না, গায়ে হালকা কিছু জড়ালেই চলে।

আগাম শীতের বার্তা কি তাহলে এসে গেল?

তেতুলিয়াতে সোমবার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস হচ্ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলছেন, এখনই শীতের অনুভূতি হওয়ার মূল কারণ কদিন আগে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনে বলছিলেন, “সাধারণত আমাদের দেশে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। এখন যে তাপমাত্রা আমরা অনুভব করছি সেটা সাধারণত ওই সময় হওয়ার কথা। কয়দিন আগে যে ঘূর্ণিঝড় হল সেটার কারণে সারা দেশে যে অসময়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে এতে তাপমাত্রা কমে গেছে তাই শীতের অনুভূতি হচ্ছে। এই তাপমাত্রা এখন ওইভাবে আর বাড়বে না। এ কারণেই এই আবহাওয়াকে অগ্রিম শীতের বার্তা বলে মনে হচ্ছে।”

তিনি বলছেন, গত কয়েক বছরের সঙ্গে এবছরের পার্থক্য হচ্ছে অক্টোবরে হঠাৎ এতটা বৃষ্টিপাত। এবছর সারা বর্ষার মৌসুমে ঢাকায় বৃষ্টিপাত ছিল ৩৫০ মিলিমিটারের মতো। কিন্তু সেই তুলনায় শুধু অক্টোবর মাসে ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার মূল কারণ ঘূর্ণিঝড়।

এবার বেশি শীতের সম্ভাবনা?

গত বছর ডিসেম্বরের ২০ এবং ২১ তারিখে বাংলাদেশে ৩০ বছরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে গড়ে অনেক কম তাপমাত্রা দেখা গেছে।

গত বছর কিছুটা আগেই দেশে শীতের মৌসুম শুরু হয়েছিল।

পুরো এশিয়াজুড়ে এবছর শীতের প্রকোপ বেশি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে, বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ।

তিনি বলছেন, তার সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে এই বছর বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন, “সিত্রাং-এর কারণে যে বৃষ্টি হয়েছে সেটা মাত্র একদিনের বৃষ্টি। আমরা যেটা পর্যবেক্ষণ করেছি যে এবছর পুরো কয়েক মাসের বৃষ্টির মৌসুম অনেক শুকনো ছিল। এই বর্ষা মৌসুমে খুব কম বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে যেটা হয়েছে মাটিতে আর্দ্রতা কম, মাটি শুকনো। মাটি ভেজা থাকলে সূর্যের আলোতে এক ধরনের তাপমাত্রা তৈরি হয় যা উপরিভাগকে গরম রাখে, তাপ ধরে রাখে। কিন্তু মাটিতে আর্দ্রতা কম থাকলে সেটা হবে না। মাটির শুকনোভাব শীতের তীব্রতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।”

অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলছেন, বর্ষা মৌসুমের বায়ু ইতিমধ্যেই চলে গেছে যা সাধারণত আসে বঙ্গোপসাগর থেকে। বর্ষা মৌসুমের বায়ু চলে যাওয়ার পর শুরু হয় উত্তরের বাতাস যা শীত বয়ে আনে। উত্তরের বাতাস ইতিমধ্যেই বইতে শুরু করেছে।

আর সিত্রাং-এর কারণে কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা বেশ হঠাৎ করে পড়ে গেছে বলে তিনি মনে করছেন। বাতাসে জলীয় বাষ্প কম হওয়ার সাথেও শীতের সম্পর্ক রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে গেলে আবহাওয়া শুষ্ক এবং বাতাস ভারী হয়ে পড়ে। তার ফলেও শীত বাড়ে।

তার ভাষায়, “শীত অনেক আগেই চলে আসবে সেটা বলা যাবে না। হয়ত একটু আগে আসতে পারে। যেহেতু কয়েকদিন আগেও অনেক বেশি গরম ছিল তাই এখন হঠাৎ এই হালকা ঠাণ্ডাকে অনেকের শীত বলে মনে হচ্ছে।”

এখনকার কম বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, শীত-গরম সবকিছুই শেষ পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত, বলছিলেন অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ।

এটিভি বাংলা / হৃদয়

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech