আমেরিকার নির্বাচন
প্রার্থী না দেখে ভোট দেয়া বিরক্তিহীন।
আগামি ৮ নভেম্বর আমেরিকায় অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে মধ্যবরতি নির্বাচন এতে করে ক্ষমতাসীন দল তাদের জনপ্রিয়তা কি অবস্হানে আছে তা যাচাই করার সুযোগ হয়।
এ নির্বাচনে মেয়াদ শেষ হওয়া বিভিন্ন অংগ রাজ্যের গভর্নর সিনেটর কংগ্রেসম্যান কাউন্সিলার সিটি মেয়র নির্বাচিত করা হয় বিভিন্ন মেয়াদের জন্য।মাএ ২টি বড় দল Democratic Party আর অন্যটি হচ্ছে Republicans party ছোট আরো দু একটি দল থাকলেও ওদের কোন ভোট ব্যাংক নেই বলা যায়।আমেরিকানরা দুটো দলেই বিভক্ত ।আমার পরিবারের তিন সদস্যই Democratic দলের সদস্য ও ভোটার ।আমার একমাএ সন্তান এ বছর প্রথম ভোটদান সম্পন্ন করলেন ডাকযোগে।
ভোট বেচা কেনা নেই প্রার্থীর দেখা মেলেনা
বিরক্তিহীন প্রচারণা।
এখানকার নির্বাচনে যারা নির্বাচন করে তাদের খুব একটা দেখা মেলেনা বলা যায়। প্রচারণার ধরনে রয়েছে ভিন্নতা টাউনহল মিটিং নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় বিলবোর্ড রেডিও টিভির বিঙাপনের মাধ্যমে ভোট চাওয়া বিশেষ করে ভোটারদের ঠিকানায় লিফলেট পাঠিয়ে ভোট চাওয়া হয় যেখানে প্রার্থীর যোগ্যতা সম্পর্কে বলা থাকে।
ইভিএম নেই মিছিল মিটিং নেই ভোট চাওয়ার বিরক্তিকর কোন প্রচারণা নেই ভোট কারচুপির কোন সুযোগ নেই নেই কোন হুমকি ধমকি কিংবা কোন সংঘাত।
নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র গুলোতে কোন এজেন্ট থাকেনা কেবল নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা লোকরা দায়িত্য পালন করে থাকে নির্বাচনী কার্যক্রমের।
দু পদ্ধতিতে ভোট প্রদান।
আমেরিকার নির্বাচনে আমরা দুভাবে ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে পারি একটি সশরীরে অন্যটি হচ্ছে ডাকযোগে ভোট প্রদান ।আমি এখানকার বেশ কিছু নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ্য হয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল।আমি একটি দলের সমর্থক হলেও ভোট কেন্দ্রে দায়িত্যপালনকালীন সময়ে কোন পক্ষ নেয়ার সুযোগ নেই।ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে কারো কোন এজেন্ট থাকেনা কোন পোষটার প্লেকারড ব্যানার নেই এমনকি ভোট চাওয়ার কোন লোকবল থাকারও সুযোগ নেই।ভোট শেষে রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হয় কোনরকম অঘঠন ছাড়াই।
লেখক ঃ
নজরুল ইসলাম বাবুল
প্রবাসী সাংবাদিক,
সানফ্রান্সিসকো, কালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
Leave a Reply