গ্রুপপর্বের ঘটন-অঘটন শেষে আগামীকাল থেকে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড প্রস্তুত, প্রস্তুত ক্রিকেট ভক্তরা। ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ টি-টোয়েন্টির অষ্টম বিশ্ব আসর এটি। সংস্করণ ক্ষুদ্র হলেও ধারে-ভারে-আবেদনে সবার চেয়ে এগিয়ে কুঁড়ি-বিশের লড়াই। প্রথম ম্যাচে কাল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। গত আসর যেখান থেকে শেষ হয়েছিল, এবার সেখান থেকে শুরু। দুবাইয়ে গত বছর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে অসিরা।
প্রতিবেশী দুই দেশ এবার শুরুতেই নামছে একে অপরকে ঘায়েল করতে। স্বাগতিক হওয়ায় এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। একটি পরিসংখ্যান ভীষণভাবে চোখ রাঙাছে নিউজিল্যান্ডকে। অসিদের বিপক্ষে তাদের মাঠে ২০১১ সালের পর থেকে কোনো ফরম্যাটেই জয় নেই কিউইদের! পরিসংখ্যানকে অবশ্য সীমানা দড়ির ওপারে রেখেই মাঠে নামবে দুই দল। চোটের সমস্যা আছে দুই দলেই। অস্ট্রেলিয়া দলের সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জশ ইংলিশের চোটে দলে আসেন গ্রিন। হাতের চোটে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ হয় ইংলিশের। গত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের অন্যতম রূপকার ডেরিল মিচেলকে প্রথম ম্যাচে পাচ্ছে না কিউইরা। লোকি, ফার্গুসন, অ্যাডাম মিলনেরা চোট কাটিয়ে ফেরার অপেক্ষায়। ওপেনিংয়ে ডেভন কনওয়ের সাথে কাল কাকে দেখা যাবে, সেটি নিয়েও চিন্তায় কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। মার্টিন গাপটিলের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে ফিন অ্যালেনকে। পাওয়ার প্লেতে অ্যালেন যথেষ্ট আগ্রাসী। এই সময়ে ১৫৬.৪৮ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটারকেই এগিয়ে রাখবে সবাই। ফর্ম নিয়ে দুঃশ্চিন্তা খোদ উইলিয়ামসনকে নিয়ে। গত বিশ্ব আসরের পর ২০ টি-টোয়েন্টিতে ৪২০ রান করলেও স্ট্রাইক রেট মাত্র ১০৫!
অসি শিবির তৈরি আছে জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্সদের গতির গোলা নিয়ে। এখন পর্যন্ত টানা দুইবার শিরোপা নিতে পারেনি কেউই। সেই মিশনে নামছে অস্ট্রেলিয়া। অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, “আমরা অনুশীলনে অনেক সময় দিয়েছি। সম্ভাব্য সেরাটা দিতে চাই। খেলতে চাই পরিকল্পনা অনুযায়ী। এমন টুর্নামেন্টে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আলাদা চাপ থাকে। তবে সেসব মাথায় নিচ্ছেন না কিউই দলপতি উইলিয়ামসন। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলাটা সবসময়ই আনন্দের। বাড়তি চাপ নিতে চাই না। সব ভাবনা দূরে ঠেলে নিজেদের দিকে নজর দিচ্ছি। আশা করি দারুণ একটি ম্যাচ হবে।” দারুণ ম্যাচ তখনই হবে, যখন ঠিকঠাক মাঠে গড়াবে খেলা। কিন্তু, আবহাওয়া যে পূর্বাভাস দিচ্ছে, তাতে কাল সিডনিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। রোমাঞ্চে পানি ঢালতে প্রকৃতি প্রস্তুত, তাসমান সাগর পাড়ের দুই প্রতিবেশী প্রস্তুত রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিতে।
সম্ভাব্য একাদশ (অস্ট্রেলিয়া): অ্যারন ফিঞ্চ (অধি.), ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টোয়নিস, টিম ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউড, অ্যাডাম জাম্পা।
সম্ভাব্য একাদশ (নিউজিল্যান্ড): কেইন উইলিয়ামসন (অধি.), ডেভন কনওয়ে, ফিন অ্যালেন, গ্লেন ফিলিপস, মিচেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার, জিমি নিশাম, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লোকি ফার্গুসন, ইশ সোদি।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply