1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন

চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে এবার অ্যালকর ‘মৃতদের জীবিত করার’

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮০ Time View

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
প্রকৃতির বাস্তব সত্য নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু আসবে আর পেছনে থাকবে মানুষের ফেলে আসা স্মৃতি। কিন্তু মৃত্যুকে আটকে রেখে এ প্রাকৃতিক নিয়মকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার অ্যালকর লাইফ এক্সটেনশন ফাউন্ডেশন।

প্রতিষ্ঠানটি মৃতদের জীবিত করতে নানা বৈজ্ঞানিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ‘লাইফ এক্সটেনশন’ মানে জীবনের পরিধি বাড়ানোর এ মিশনে, অ্যালকর তরল নাইট্রোজেনে ভরা ট্যাঙ্কে ১৯৯টি মৃতদেহ ও মাথা এবং ১০০টি পোষা প্রাণীকে সংরক্ষণ করে রেখেছে। যারা ভবিষ্যতে পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশায় ক্রিওপ্রেসারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

সংরক্ষিত মৃতদেহগুলোকে বলা হয় ‘ক্রিওপ্রিজারভড’। অ্যালকর’র পূর্ণ বিশ্বাস এসব মৃত ব্যক্তিদের প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া হবে যখন প্রাণ ফেরানোর মতো উন্নত প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হবে। আর এমন আশায় এখনো মৃত ব্যক্তিদের স্বজনেরাও অপেক্ষায় দিন গুনছেন। অ্যালকর’র রোগীরা হচ্ছেন ক্যানসার, প্যারালাইসিস বা অন্যান্য জটিল রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা। এদের মধ্যে আছে মাত্র ২ বছর বয়সে মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া থাইল্যান্ডের একটি মেয়ে শিশু।

শিশুটির দেহ ২০১৫ সাল থেকে সংরক্ষিত। প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ ম্যাক্স মোর’র ভাষ্যমতে, শিশুটির মস্তিষ্কে একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছিল তবে কিছু কাজে না আসায় অ্যালকোর সাথে যোগাযোগ করে মেয়েটির বাবা-মা যারা নিজেরাও ডাক্তার। আরও একজন হলেন বিটকয়েনের পথপ্রদর্শক হ্যাল ফিনি তিনিও অ্যালকোর একজন রোগী। ২০১৪ সালে প্যারালাইসিসে প্রাণ হারানোর পর অ্যালকর তার মরদেহ সংরক্ষণ করে রেখেছে।
এ ‘ক্রিওপ্রিজারভেশন’ বা সংরক্ষণ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ভিন্ন এবং জটিল এক প্রক্রিয়া। ব্যক্তির মৃত্যুর আইনি ঘোষণার পর প্রথমে ব্যক্তির দেহকে কিছুক্ষণ হিম শীতল পানির মধ্যে রাখা হয়। দেহ থেকে রক্ত এবং অন্যান্য তরল বের করে তার পরিবর্তে শরীরে বিশেষ কেমিক্যাল প্রতিস্থাপন করা হয়, যা মৃতদেহকে পচন ধরতে দেয় না।

পরে দেহটি অতিরিক্ত ঠান্ডা তাপমাত্রায় নাইট্রোজেন ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয়। এই সময়টাতে কৃত্রিমভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য একটি যান্ত্রিক সিপিআর যন্ত্র ব্যবহার করা হয় যাতে কোষগুলোকে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। মাইনাস ১১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শরীর একদম শক্ত হয়ে যায়।

পুরো এ প্রক্রিয়ায় শরীরের জন্য খরচ পড়বে ২ লাখ ডলার এবং মস্তিষ্কের জন্য ৮ হাজার ডলার। ম্যাক্স মোর বলেন, বর্তমান সময় যে অসুস্থ রোগীদের আরোগ্য সম্ভব নয় তাদের স্বজনরাও অ্যালকরের সাথে যোগাযোগ করে তাদের দেহ সংরক্ষণের জন্য বলছেন। তার দাবি অ্যালকর পচন বন্ধ রেখে তাদের দেহও নষ্ট হতে দেয় না।

অ্যালকর লাইফ এক্সটেনশন ফাউন্ডেশনটি, মৃতদের প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার এই প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ আশাবাদী এবং প্রাণ ফেরানোর মতো উন্নত প্রযুক্তি আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের দেহ এভাবেই সংরক্ষণ করা হবে।

এটিভি বাংলা / হৃদয়

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech