বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের প্রিয় ব্যাটিং পজিশন তিন নম্বর। এই জায়গাটি তিনি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজ। এই সিরিজের ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাকিব সিপিএল খেলে নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। আসন্ন সিরিজে তিনি চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন। সাব্বির রহমানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন তিনি।
এদিকে টিম ম্যানেজমেন্ট মেহেদী হাসান মিরাজকে দেখে মুগ্ধ। তাঁকে ওপেনার হিসেবে খেলাতে চায়। আফিফ হোসেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করবেন। ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও নুরুল হাসান সোহানকে পরে ধারাবাহিকভাবে খেলানো হবে।
সাকিব তিন নম্বরে ৪০টি ম্যাচ খেলে ২৮.৭২ গড়ে এবং ১২২.৩৬ স্ট্রাইক-রেটে ১০৩৪ রান করেছেন। নিষেধাজ্ঞার পর ফিরে আসার পর বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ১১১.৬৮ স্ট্রাইক-রেটে ৪৭৮ রান করেছেন এবং তাঁর নামের পাশে মাত্র একটি ফিফটি রয়েছে।
চার নম্বরে সাকিব সম্প্রতি সিপিএলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে যে তিনি সেখানে সবচেয়ে উপযুক্ত। কারণ এটি তাঁকে মিডল অর্ডারকে গাইড করতে এবং লিটন বা অন্য কাউকে তিন নম্বরে খেলানো যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করছি (সে তিনে ব্যাট করবে কি না)। সিপিএলে সে চারে ব্যাট করেছে এবং ভালো খেলেছে। আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে সে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবে। এটা এমন নয় ব্যাটিং অর্ডারের ক্ষেত্রে সে (সাকিব) খুব অনমনীয়। সে খুবই নমনীয় এবং ব্যাটিং অর্ডারে জায়গা নিয়ে আমরা তার সাথে কথা বলেছিলাম। তিন বা চারে ব্যাটিং করতে তার কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে।’
জাতীয় দলের নির্বাচক আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো সাকিব যে কোনো জায়গায় ব্যাট করার ব্যাপারে খোলা মনের। অনেকেই মনে করেন তিনি তিন নম্বর ছাড়া কোথাও ব্যাট করবেন না। কিন্তু আসল কথা হলো সে এমন মানসিকতা বহন করে না। যে কোনো জায়গায় ব্যাট করতে পারলেই সে খুশি। তিনি সবকিছুকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। দলের জন্য ভালো কিছু করতেই তিনি বেশি খুশি। অস্ট্রেলিয়ায় আমি মনে করি সে চারে ব্যাট করবে আর অন্য কেউ তিন নম্বরে ব্যাট করবে।’
আগামী ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply