স্বাস্থ্য ডেস্ক :
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৭ শতাংশ সংক্রমণ বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানেও দেখা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির চিত্র।স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩ হাজার ৩৪১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৩৪০ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আগের দিন একই সময়ে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এছাড়া এসময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৩৯ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। ডব্লিউএইচও’র তথ্যমতে, বিশ্বে করোনা সংক্রমণ কমছে। সারা বিশ্বে আগের সপ্তাহের তুলনায় সবশেষ সপ্তাহে ২৮ শতাংশ সংক্রমণ কমেছে। যদিও বিশ্বের সব অঞ্চলে তা কমেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি জানায়, এর মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশে সংক্রমণ ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ভাইরাসটির সংক্রমণ ১১৭ শতাংশ বেড়েছে।
হঠাৎ করেই করোনার সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে তারা বলছেন, পৃথিবী থেকে করোনা সংক্রমণ একেবারে শেষ হয়ে যাবে না। তবে করোনার উপসর্গের তীব্রতা কমে আসবে। করোনা অনেকটা মৌসুমি জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো হয়ে পড়বে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের হুয়ানান সি-ফুড ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল। ওই বাজার ছিল মহামারির কেন্দ্র। একাধিক গবেষণায় এর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এরপর ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। দেশে সবশেষ একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৬০ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৪৭ জন।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply