লাইফস্টাইল ডেস্ক :
বর্তমানে চাষাবাদের জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো গাছে কোকোডাস্টের ব্যবহার। কৃষকের কাছে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা সবচেয়ে সহজ। আর আপনি যদি কৃষক না হন তবে বারান্দায় শখের গাছের চাষাবাদেও প্রয়োগ করতে পারেন এই পদ্ধতি।
এখন অনেকেই হয়তো কোকোডাস্ট সম্পর্কে খুব বেশি বুঝতে পারছেন না। মূলত কোকোডাস্ট হলো নারকেলের তুষ। একটি টবে মাটি ভরাট না করে যদি নারকেলের তুষ ভরে তাতে গাছ লাগানো হয়, তবে এটি হবে চাষাবাদের একটি আধুনিক প্রযুক্তি।
এই আধুনিক প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় উপাদান ও পুষ্টি পেতে পারে গাছ। তাই মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কোকোডাস্ট বা নারকেলের তুষ।
কৃষি গবেষকরা বলছেন, মাটির পরিবর্তে যদি কোকোডাস্ট ব্যবহার করা হয় তবে এটি টবের ওজন অনেকটাই হালকা করে। যেকোনো সময় এই কোকোডাস্টে প্রয়োজনীয় জৈব সারও মেশানো বেশ সহজ হয়, যা মাটিতে চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। যার কারণে সহজেই গাছগুলোর পরিচর্যা করতে পারায় এখন বেশির ভাগ মানুষই চাষাবাদে ভরসা রাখছে কোকোডাস্টে।
এ ছাড়া কোকোডাস্টে ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীবের কার্যকারিতা বেশ কম। তুষে নিয়মিত পানি প্রয়োগে এটি উৎকৃ্ষ্ট জৈব সারে পরিণত হয়। তাই কোকোডাস্টেই গাছ বেশি সুরক্ষিত থাকে।
এর সেলুলোজ, লিগনিনজাতীয় জৈব পদার্থ উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে দীর্ঘসময় ধরে। তাই জৈব সারের সঙ্গে মেশানো নারকেলের কোকোডাস্ট দিয়েই শুরু করতে পারেন সবুজের সমারোহ তৈরির প্রচেষ্টা।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply