ডেস্ক রিপোর্ট:
জনস্বার্থ বিবেচনায় ২২শে জানুয়ারি পর্যন্ত পূর্বঘোষিত সভা সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।করোনার সংক্রমণ রোধে নয়, বিএনপির কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
গেলো শনিবারের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে দলটি। দলের নেতারা অভিযোগ করেন, প্রায় দু বছরেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারেনি সরকার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার কোডিড-১৯ এর ডেল্টা ও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট প্রতিরোধে যতটা না আগ্রহী, তার চেয়েও বেশী আগ্রহী বিরোধী দল দমনে। ইতোমধ্যে তার অসংখ্য প্রমান জাতি দেখেছে। ১১ দফা নির্দেশাবলী জারি হওয়ার আগেও আমাদেরকে দেশের বহু স্থানে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বেশকিছু বিষয় মাথায় রেখে, ২২শে জানুয়ারি পর্যন্ত দলের সভা-সমাবেশ স্থগিত করে পুন:নির্ধারিত তারিখে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের দমনপীড়নে চলমান আন্দোলকে স্তব্ধ করা যায়নি বরং তা আরও বেগবান হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ ও দারুণ অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসাসহ অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজ ও বিশ্ব দরবারে মাতৃভূমির মর্যাদা বিনষ্টকারী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য যথার্থই নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে এবং চলবে।
তিনি বলেন, রাজনীতি করে বলেই আমরা বিভিন্ন সময়ে করোনার সংক্রমণ এবং তার অনিবার্য রীতি সম্পর্কে সরকারকে হুঁশিয়ার করেছি। জনগণকে সচেতন এবং ঔষধ, অক্সিজেন সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। এমনকি সংক্রমণের বৃদ্ধি রোধের লক্ষ্যে দলীয় কর্মসূচি বন্ধ রেখে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখনও আমাদের কাছে জনস্বার্থই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সবাইকে সাথে না নিয়ে, সরকার অপরাজনীতি করছে বলেও দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
এটিভি বাংলা/কামাল
Leave a Reply