লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মানুষের জীবনে প্রতিটি মুহূর্তই যেন এক একটি যুদ্ধক্ষেত্র। কখনো এই যুদ্ধে কেউ হচ্ছেন জয়ী আবার কেউবা হচ্ছেন পরাজিত। জীবনযুদ্ধে পরাজিত হলেই যেন চারদিক থেকে দুঃখ, হতাশা আপনাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। যদি আপনি এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জীবন পার করে থাকেন তবে আপনার জন্যই আজকের এই আয়োজন।
দুঃখ মানুষের জীবনের চরম বাস্তবতা বলতে পারেন। এই বিষাদের ভার যখন মানুষ আর নিতে বইতে পারে না তখন অনেকেই বেছে নেন আত্মহননের পথ। তবে এতে কী কোনো সমাধান মেলে?
জীবনের সরলরেখায় ইতি টানার মানেই শেষ নয়। কেননা মৃত্যু মানেই যে আপনাকে নিয়ে আলোচনা শেষ এমনটা কখনোই হয় না। বরং নানাদিক থেকে আপনি হতে পারেন প্রশংসিত, সমালোচিত কিংবা বিতর্কিত।
সেলিব্রেটিদের ক্ষেত্রে একটি দেশের সব নাগরিক এতে সামিল হলেও সাধারণদের ক্ষেত্রে পরিচিতদের মধ্যেই এটি সীমাবদ্ধ থাকে। তাই দুঃখে কিংবা বিষাদে নিজেকে ডুবিয়ে না দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করতে পারেন।
এর জন্য আনতে পারেন লাইফস্টাইলে পরিবর্তন। নিয়মিত করতে পারেন যোগাসন বা ইয়োগা। পাশাপাশি ডায়েট লিস্টের জন্য বেছে নিতে পারেন এমন কিছু খাবার যা আপনার মধ্যে শুধু সুখের অনুভূতিই তৈরি করবে, দুঃখের নয়।
মানুষের শরীরে সুখের অনুভূতি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে হ্যাপি হরমোন। এই হ্যাপি হরমোন মস্তিষ্কে বিষাদের ছায়া ফেলতে পারে না। যার ফলে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলিয়ে বের করা যায় সাফল্যের উপায়ও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে হ্যাপি হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে মেথি। আর্য়ুবেদশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, মানুষের স্ট্রেস দূর করে মেথি মাথা রাখতে দারুণ কার্যকর।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু সর্দি,কাশিই নয়, দুশ্চিন্তা কমানোরও ক্ষমতা রয়েছে ওষুধি গাছ তুলসীর। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত সকালে খেতে পারেন তুলসীর রস।
দুশ্চিন্তা কমানোর পাশাপাশি মানুষের মুডের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে এমন তিন ভেষজ হলো ত্রিফলা, ব্রাহ্মী এবং অশ্বগন্ধা গাছ। চিন্তাভানায় পজিটিভটি আনতেও ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন এই ৫ ভেষজ উপাদান।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply