জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির পর করোনায় বেশি মৃত্যু জুলাইয়ে

হেলথ ডেস্ক :
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যথাক্রমে ৩২২ ও ৬৪৩ জনের মৃত্যু হয়। মার্চ মাসে অনেকটা হঠাৎ করেই কমে আসে মৃত্যুর সংখ্যা। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ২৯৫ জনে এবং মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫ হাজার ৯৯৩ জনে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৮৭ জনের।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির পর করোনায় বেশি মৃত্যু জুলাইয়ে

গত মার্চ মাসে ৮৫ জনের মৃত্যুর পর এপ্রিল ও মে মাসে আরও কমে আসে মৃত্যুর সংখ্যা। পরের ওই দুই মাসে মারা যান ৫ জন ও ৪ জন। এরপর জুন মাসে মৃত্যু হয় ১৮ জনের। আর জুলাই মাসে মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের; যা জুন মাসের প্রায় ৮ গুণ।

জুলাই মাসে যে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন ৮৫ জন। বাকি ৫৭ জন ভ্যাকসিন নেননি। ভ্যাকসিন নেয়া ৮৫ জনের মধ্যে ৭ জন কেবল এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছিলেন ৫২ জন, আর তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন (বুস্টার) পেয়েছিলেন ২৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে করোনা প্রতিরোধে চলতি সপ্তাহে শুরু হচ্ছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা কার্যক্রম। শুরুতে ঢাকা শহরের কিছু বিদ্যালয়ে এ টিকা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম জানান, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে দেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, শিশুদের টিকা নিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা আছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকাও মজুত আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে এলে দিনক্ষণ ঠিক করে আমরা টিকা কার্যক্রম শুরু করব। ঢাকার যেসব এলাকায় কোভিডে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে সেসব এলাকায় আগে টিকা দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

 

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *