লাইফস্টাইল ডেস্ক :
কথিত আছে মেয়ে সন্তানরা বাবার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। তাই বাবারা চান ভবিষ্যতেও যেন মেয়ে সুখে শান্তিতে ও নিরাপদে থাকেন। আর এ কারণেই মেয়ের জামাই নির্বাচন করতে গিয়ে নানা দিক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন তারা। আসলে জামাইয়ের ওপর আস্থা রাখতে চান বাবারা, থাকতে চান নির্ভার। এ কারণেই হয়তো মেয়ের জামাইয়ের সাথে শ্বশুরের কেমিস্ট্রিটা একটু আলাদা হয়।
সাধারণত দেখা যায়, শ্বশুর-জামাই উভয়ই লাজুক হেসে অত্যন্ত নিচু স্বরে আলাপ আলোচনা করেন, করেন কুশল বিনিময়। আবার জামাই আসবে বলে শ্বশুর আগে থেকেই বাজার করেন, কি কি খাওয়াবেন তার প্রস্তুতি নেন।
জামাই যখন শ্বশুর বাড়িতে ঢোকেন একইভাবে লাজুক হেসে কুশল বিনিময় করেন। কিন্তু একে অপরের সামনে কেউ থাকেন না বেশিক্ষণ, যেন আড়ালই স্বস্তি। আমাদের দেশের শ্বশুরেরা আবার নতুন জামাইয়ের মুখে বাবা ডাক খুব উপভোগ করেন। যেন নতুন সন্তান পেয়ে খুব খুশি হন। অনেকে তো মেয়ে বড় হবার আগেই দাড়ি রাখতে শুরু করেন যেন জামাই-শ্বশুরের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা খুব সহজেই বোঝা যায়।
তবে, আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে ছেলের বউয়ের সামনে শ্বশুরদের তেমন লজ্জা পেতে দেখা যায় না। তারা খুব দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে আসেন ছেলে বউকে অভিবাদন জানাতে। কিন্তু নতুন বৌয়ের কাছে শ্বশুর সম্পর্ক কিছুটা ভয়মিশ্রিত লজ্জার, কিছুটা আবদারের, নতুন ভালোবাসার।
আজ ৩০ জুলাই, শ্বশুর দিবস। যুক্তরাষ্ট্রে দিনটি ঘটা করে পালিত হয়।
ধারণা করা হয়, দেশটির গিফট কার্ড তৈরির কোনো প্রতিষ্ঠান এই দিনটি চালু করেছে। তবে ঠিক কবে সেটি শুরু হয়েছিল তা জানা যায়নি।
এই দিনে জামাইয়েরা শ্বশুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠান, লেখেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিশেষ আয়োজন করে বাড়িতে ডেকে শ্বশুরকে খাওয়ানোর পাশাপাশি তাকে উপহার দেয়ারও চল রয়েছে।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply