ছোট্র বেলায় দাদা ঠাকুরমা বলেছিলেন “দিদি ভাই তোর গলা ভালো। গান শিখলে একদিন ভাল করবি”। উনাদের উৎসাহে মাসিমা’ থেকে গানের হাতে খড়ি। তারপর দিনাজপুর শহরের “সংগীত শিক্ষা কেন্দ্র ভৈরবী”র ওস্তাদ সুনীল মজুমদার স্যার থেকে শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম। সেই সাথে রবীন্দ্র সংগীত ও আধুনিক গান শিখেছি বাংলাদেশ বেতারের রংপুর অঞ্চলের সংগীত পরিচালক মোকসেদ আলী স্যার থেকে। লেখাপড়ার পাশাপাশি যতটুকু সময় পাই অবসরটা গানেই কাটাই। এভাবেই গানের মধ্যে একটু একটু করে বেড়ে উঠছি। এসএসসি পাশের পর মিউজিক কলেজ থেকে এইচ এসসি সমমান পাশ করেছি৷ বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে অর্থনীতিতে অর্নাসে পড়ছি। নিজের শ্রম ও সাধনায় এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুরের গানের তরুনী মিতুল ভট্রাচার্য্য সবার প্রিয় টুকি। সুরেল গায়কি। সমান তালে গাইতে পারেন এপাড় বাংলা ওপাড় বাংলা গান। রবীন্দ্র, নজরুল আধুনিক সব গানেই রয়েছে সমান দখল। শান্ত স্বভাবের মুছকি হাসির মিতুলের জন্ম দিনাজপুর শহরেই। শহরের সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার স্কুলে প্রাইমারি, কলেজিয়েট বালিকা থেকে হাইস্কুল শেষ করে সরাসরি মিউজিক কলেজে ভর্তি। মফস্বল শহরের একটি মেয়ে নিজ প্রচেষ্টায় গানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়া সত্যিই সাধনার। মিতুল বলেন, ইচ্ছে আছে গান নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার। তিনি বলেন, অনেকের শখ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, বা আরো বড় কিছু। কিন্তু আমার ইচ্ছে বেচে থাকার মত সাধারণ কাজ আর গানের সাথে বাকিটা সময়। এতটুকুই চাওয়া। সবাই আমার জন্য আশির্বাদ করবেন।
Leave a Reply