আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন:
বরিস জনসন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিন বছরেরও কম সময় ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি। তবে তার কনজারভেটিভ পার্টি যত দিন না নতুন নেতা নির্বাচিত করছে, তত দিন তিনিই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই থাকতে চান বলেও জানিয়েছেন বরিস।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ডাউনিং স্ট্রিট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় বরিস জনসন নির্বাচনে যারা কনজার্ভেটিভ পার্টিকে ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
দীর্ঘ সময় ক্ষমতা থাকার জন্য লড়াই করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এতদিন আমি ভেবেছি এটি আমার কাজ, আমার কর্তব্য এবং আপনার প্রতি আমার বাধ্যবাধকতা। তাই লড়াই করেছি।
বরিস জনসন বলেন, আমি মন্ত্রিসভাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করা ‘খামখেয়ালিপনা’ হবে। তবে আমি তার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে সফল হতে পারিনি। এর জন্য আমি দুঃখিত।
এ সময় তিনি ‘রাজনীতিতে কেউই অপরিহার্য নয়’ বলেও মন্তব্য করেন। বরিস জনসন বলেন, আমাদের উজ্জ্বল এবং ডারউইনিয় ব্যবস্থা অন্য নেতা তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে হবে তা স্পষ্ট হয় তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন স্তরের মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা একের পর এক পদত্যাগ করার পর। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের পদত্যাগের পর যাকে সেই পদে বসানো হয়, তিনি-ও বরিসের ইস্তফার দাবি করতে থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্তরের মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৫০ জনের পদত্যাগের পর শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়াতে রাজি হন বরিস জনসন।
এটিভি বাংলা/সীমান্ত
Leave a Reply