1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন

পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে এবার মিলল ৩ কোটি ৬০ লাখ হাজার টাকা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ৩১১ Time View

ডেস্ক রিপোর্ট:

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে এবার তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গেছে। এর আগে চলতি বছরের ১২ মার্চ সর্বশেষ দান সিন্দুক খোলার পর এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানসিন্দুক খোলা হয়। দানসিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে ১৬টি বড় বস্তায় টাকা ভরা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনা। দানসিন্দুকে টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উবায়দুর রহমান ও মাহবুব হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে টাকা গণনায় মসজিদ ও মাদরাসার শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও আনসার এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেন। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম মসজিদের প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্তানের ব্যয় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জে অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত।

কথিত আছে, প্রায় পাঁচশ বছর আগে বাংলার বারো ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী বারজন জমিদারদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

এটিভি বাংলা/ফিরোজ আহমেদ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech