অনলাইন ডেস্ক:
প্রতিবছরের মতো এ বছরও লাতিন আমেরিকার দেশে দেশে উদযাপিত হয়েছে ‘গ্লোবাল মারিজুয়ানা মার্চ’। ব্রাজিল ও মেক্সিকোর সড়কে বর্ণিল শোভাযাত্রায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ। গান-বাজনার তালে তালে গাঁজা চাষ ও সেবন উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
১৯৯৯ সাল থেকে মে মাসের প্রথম শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে উদযাপিত হয়ে আসছে ‘গ্লোবাল মারিজুয়ানা মার্চ’।
গাঁজা নিয়ে সারা দুনিয়াই দুই ভাগে বিভক্ত। একদল লোক এর বৈধতা দানের পক্ষে। অন্যরা গাঁজার ব্যবহার নিষিদ্ধ কিংবা সীমিত রাখার পক্ষে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী বলছে, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গাঁজা নিয়ে লুকোচুরি কিছুটা কমে এসেছে।
গাঁজা সেবনকারী ড্যামিয়ান আলবা ক্যাস্ট্রো বলেন, একসময় জায়ান্ট রোল করতে হতো লুকিয়ে। কিন্তু যতই সময় যাচ্ছে ততই বিষয়টি স্বাভাবিক হচ্ছে। এখানে আপনি পার্থক্য দেখতেই পাচ্ছেন। এভাবে প্রকাশ্যে কাউকে এর আগে গাঁজা সেবন করতে দেখেছেন?
ব্রাজিল ও মেক্সিকোয় বর্ণিল গ্লোবাল মারিজুয়ানা মার্চে অংশ নেয় হাজার হাজার গাঁজা সেবনকারী। চিকিৎসার পাশাপাশি চিত্ত বিনোদনের জন্যও নেশাজাতীয় এ ভেষজ চাষ ও সেবনের বৈধতার দাবি করে তারা।
সঙ্গীতশিল্পী ও গাঁজা সেবনকারী ইউরিয়েল জেরোন জানান, আমাদের একটি সার্কেল আছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা সেবন করছে। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোক আছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, আমরা অপরাধী নই। অধিকারের জন্য লড়াই করছি আমরা। গাঁজা চাষের অনুমোদন চাই।
গত বছর কেবল চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করে একটি বিল অনুমোদন করে মেক্সিকোর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ কংগ্রেস। বিনোদনের জন্য এখনও মেলেনি অনুমোদন।
গাঁজা ব্যবহারকারীদের সহায়তা সমিতির প্রধান মার্গারেট সান্তোস দে ব্রিটো বলেন, মারিজুয়ানা প্ল্যান্টের অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহার আরও বাড়াতে চাই। একারণে ব্রাজিলে গাঁজা চাষের অনুমোদনের জন্য লড়ছি আমরা।
ব্রাজিলে ২০০৬ সালে অল্প পরিমাণে গাঁজা সেবন বৈধ করা হয়েছিল। কিন্তু দেশটিতে এখনও বেচাকেনা বেআইনি।
এটিভি বাংলা | তুষার
Leave a Reply