ডেস্ক রিপোর্ট:
ঈদের ছুটিতে গত শুক্রবার থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত তিনদিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ১৯০টি যানবাহন। করোনা মহামারির চোখ রাঙানি না থাকায় দুই বছর পর এবার ঈদ উদযাপন যেন ফিরে পেয়েছে পুরানো রূপ। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গগামী পরিবহণগুলো চলাচল করেছে। যা বিগত ঈদগুলোতে ওই মহাসড়কে যানজটে পড়ে নাকাল হতে হয়েছিল মানুষজনকে। তবে এই ঈদে বাড়ি ফেরার চিত্র ভিন্ন। অনেকটা নির্বিঘ্নেই ঈদে বাড়ি ফিরছে ঘরমুখো মানুষরা।
ঈদের ছুটিতে গত শুক্রবার (২৯শে এপ্রিল) থেকে রবিবার (১লা মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত তিনদিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ১৯০টি যানবাহন। এরমধ্যে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে ২১হাজার ১৩৩টি। এসব যানবাহন থেকে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি দুই লাখ ২ হাজার ৭৫০টাকা। এরমধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গগামী ৭১ হাজার ৯৫৬টি যানবাহন সেতু পার হয়েছে।
জানা গেছে, জেলা পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি উত্তরবঙ্গগামী মানুষজনের। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু হতে এলেঙ্গা পর্যন্ত একলেনে চলেছে পরিবহণ। এতে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহণগুলো সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। ফলে চাপ পড়েনি মহাসড়কে। এছাড়া ঈদের ছুটিতে ঢাকার পোশাক কারখানাগুলো পৃথক পৃথক সময়ে ছুটি দেয়ায় মহাসড়কেও প্রভাব কম পড়েছে। এতে এক রকম স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে তারা। বিগত ঈদগুলোর মত মহাসড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।
মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহণের চালকরা জানান, ধারণা ছিল ঈদে যানজটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। কিন্তু ভোগান্তি হয়নি। সাধারণ সময়ের মতো গন্তব্যে পৌঁছানো গেছে। তবে, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত সড়কে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ চালকদের।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, এবার ঈদে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশি। বিগত কয়েকদিন সেতু এলাকায় পরিবহণের ব্যাপক চাপ ছিল। সেতুর সবগুলো টোল বুথ চালু ছিল। এছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য টোলপ্লাজার দক্ষিণপাশে আলাদা দুইটি টোল বুথ স্থাপন হয়েছে। গত তিনদিনে ৯ কোটির অধিক টাকা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে বলেও জানান বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী।
এটিভি বাংলা/সাইরা
Leave a Reply