ডেস্ক রিপোর্ট:
যথাযথ মর্যাদায় ও মাহে রমজানের ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যে ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে কদর- লাইলাতুল কদর।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররমসহ সারাদেশে মসজিদে মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ঢল নামে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক মুসল্লিইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে শবে কদর পালন করেন।
মহিমান্বিত এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র এশার নামাজ, তারাবি শেষে মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টির্জনের জন্য নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার, কবর জেয়ারত, দান-সদকা ও ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র এশার নামাজ ও তারাবি আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শবে কদর উপলক্ষে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বায়তুল মোকাররমে কড়া অবস্থানে দেখা গেছে আইন-শঙ্খলাবাহিনীকে। প্রবেশ পতে সবার শরীর তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে নামাজ শেষে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়।
শবে কদর’ হলো একটি ফারসি শব্দ। যার অর্থ মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের যে কোনও বেজোড় রাতে হতে পারে শবে কদর। এ রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো। (মুসলিম)।
মাহে রমজানের এ রাতেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। তাই এ রাত সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কাছে এক পূণ্যময় ও মহিমান্বিত রাত হিসেবে বিবেচিত। ইসলাম ধর্মে এ রাতের ইবাদতকে বিশেষ তাৎপর্যময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এটিভি বাংলা/আমান
Leave a Reply