এছাড়াও কোনো ধরনের উসকানিতে নিউমার্কেটের কোনও ব্যবসায়ী বা কর্মচারীকে না জড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষে দুঃখপ্রকাশ করে আলোচনার জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন তিনি। আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, আমরা দুই পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলো খুলে দিতে চাই। এই ঘটনায় তৃতীয় পক্ষ জড়িত ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মালিক সমিতি সভাপতি আরও বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব, যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করব। এমনকি পরবর্তীতে যেন এমন ঘঠনা না ঘটে তার জন্য ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনকে নিয়ে আমরা কমিটি গঠন করব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে, সোমবার রাতে নিউমার্কেটের কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর রাতভর চলে সংঘর্ষ। পরের দিন মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে আবারও সংঘর্ষ শুরু হলে চলে দিনভর। রণক্ষেত্র ছিল রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা। দফায় দফায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত হয় অন্তত ৫০ জন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা কলেজের হলগুলো ৫ই মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা দিয়ে বিকেলের মধ্যে ছাত্রদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হলেও, শিক্ষার্থীরা তা মানেননি। পরবর্তীতে আবারও রাস্তায় নামে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে আইসিইউতে থাকা নাহিদ হাসান (১৮) নামে এক যুবক চিকৎিসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন।
এটিভি বাংলা/আমান
Leave a Reply