এই রমজানে যেভাবে নিয়ন্ত্রনে রাখবেন কোলেস্টরল

এটিভি লাইফস্টাইল:

রমজান মানেই ভাজাপোড়া খাবার। আর এই ধরণের খাবার খেলে বেড়ে যায় কোলেস্টেরলের সমস্যা। কারও যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় ও ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, সে সঙ্গে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে কয়েকটি পানীয়। এই পানীয়গুলো আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

ওটসের দুধ

রোজের খাদ্যতালিকায় ওটসের দুধ থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকরী ওট্‌স। ওটসের দুধে রয়েছে বিটা গ্লুকোন। তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক কাপ ওটসের দুধে ১.৩ গ্রাম বিটা গ্লুকোন থাকে। উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি দিন অন্তত ৩ গ্রাম করে বিটা গ্লুকোন খাওয়া প্রয়োজন।

গ্রিন টি

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টিতে থাকা ‘ক্যাটাচিন’ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ১২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরে কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা প্রায় ১৬ শতাংশ কমে যায়।

সয়া দুধ

সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট পরিমাণ খুবই কম। একেবারে নেই বললেই চলে। দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ কোলস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকলে শরীর সুস্থ রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন সয়া দুধ। শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায়্য করে এই পানীয়।

টমেটোর রস

টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন শরীরে লিপি়ডের মাত্রা বাড়াতে ওবং লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। রোজ আধ কাপ করে টমেটোর রস খেতে পারলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

বেরি স্মুদি

স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি, ব্ল্যাক বেরির মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। সপ্তাহে ৩ দিন এটি খেতে পারেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এটিভি বাংলা/তিষা


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *