শিক্ষার্থীদের জন্য ফের চালু হলো মার্কিন ভিসা

ডেস্ক রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও স্টুডেন্ট ভিসার (শিক্ষার্থী ভিসা) অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার আবেদনকারীদের কঠোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে, যার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো সর্বজনীন করা একটি নতুন শর্ত। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো সর্বজনীন করতে বলা হবে, যাতে আরও নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করা যায়। এর অর্থ হলো, ফেসবুকে যদি কারও আইডি লক করা থাকে, তবে তারা বিবেচিত হবেন না; আইডি আনলক করে রাখতে হবে যাতে সহজেই যাচাই-বাছাই করা যায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘেঁটে দেখেন, কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক মনোভাব আছে কিনা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশটির প্রতিষ্ঠার মূলনীতির প্রতি কোনো নেতিবাচক মনোভাব থাকলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।

এর আগে মে মাসের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত করেছিল। কারণ তারা মার্কিনবিরোধী মনোভাবসম্পন্ন আবেদনকারীদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিল।

এই নতুন নির্দেশনা মূলত ‘এফ’ ক্যাটাগরির ভিসা আবেদনকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে, যা সাধারণত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত ‘এম’ ভিসা এবং বিনিময় শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত ‘জে’ ভিসার জন্য আবেদনকারীরাও এই নতুন নীতির আওতাভুক্ত হবেন।

এছাড়া মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, যদি কোনো আবেদনকারী তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট করে রাখেন, তাহলে সেটিকে তার কর্মকাণ্ড গোপন করার চেষ্টা হিসেবে দেখা হতে পারে। পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে জানানো হয়, ‘মার্কিন নাগরিকরা আশা করেন যে তাদের সরকার দেশকে আরও নিরাপদ করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে, আর ট্রাম্প প্রশাসন ঠিক সেটাই করছে।’

ভিসা কর্মকর্তাদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করেন যারা ঘোষিত বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়, তাদের সাহায্য করে বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে; কিংবা যারা অবৈধভাবে ইহুদি-বিরোধী হয়রানি বা সহিংসতায় জড়িত।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *