বুধবার (৩০শে মার্চ) সকাল ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, সকালে বাদী হয়ে ইখলাছ উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেছেন শিশুটির মা মিতা খাতুন।
বুধবার (৩০শে মার্চ) সকাল ৮টার দিকে শিশু ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। সেখানে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশুটি। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে আঠারোখাদা গ্রামে পৌঁছে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ইখলাছ উদ্দীন আলমডাঙ্গা উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ইখলাছ উদ্দিন (৩৫) ও তার প্রথম স্ত্রীর ১২ বছর দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান হয়নি। গত ৪ বছর আগে মিতা খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন ইখলাছ। পরে তাদের কোলজুড়ে আসে এক ছেলে সন্তান। এরপর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী মিতাকে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতে থাকেন তিনি। শারীরিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় ওই ছেলে তার নয় বলে জানায় ইখলাছ।
বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে বাড়ির কাজ করছিলেন মিতা। তখন ছেলেকে কোলে নেন ইখলাছ। পরে শিশু ইকবালের বাম পায়ে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করেন তিনি। এ সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ইকবালকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। সেখানে নেওয়ার পথে বিকেলে মারা যায় শিশুটি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত বাবা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষ মিশ্রিত ইনজেকশন পুশ করে শিশু ইকবালকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে বাদী হয়ে স্বামীর নামে মামলা করেন শিশুর মা মিতা খাতুন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়।
এটিভি বাংলা/তিষা
Leave a Reply