ডেস্ক রিপোর্ট:
গণমাধ্যমকর্মী-চাকরির শর্তাবলী বিল- ২০২২, জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশন শুরু হয়। এরপর বিলটি উত্থাপন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম বিল ২০২২ উত্থাপন করেন। এরপর অর্থ ও বিদ্যুৎ জ্বালানির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো গণমাধ্যমকর্মীর বেতনকাল এক মাসের বেশি হবে না। পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে বেতন পরিশোধ করতে হবে।
সোমবার (২৮ মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এরপর তা ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পাঠানো হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে।
এই বিলে বলা হয়েছে, প্রতি পাঁচ বছর পরপর গণমাধ্যমকর্মীদের ন্যূনতম ওয়েজ বোর্ড গঠন হবে। ওয়েজ বোর্ড সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, বেসরকারি টেলিভিশন, বেতার ও নিবন্ধিত অনলাইন মাধ্যমের জন্য প্রয়োজনে পৃথক পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবে।
আগে শুধু সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার জন্য এই ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হতো। এদিকে তিন বছর পরপর ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির কথাও বলা হয়েছে বিলে।
বিলে আরও বলা আছে, গণমাধ্যমে পূর্ণকালীন কর্মরত সাংবাদিক, কর্মচারী এবং নিবন্ধিত সংবাদপত্রের মালিকানাধীন ছাপাখানাসহ নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যমে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ‘গণমাধ্যমকর্মী’ বলা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের তিনটি বিভাগ করা হয়েছে এই বিলে। সেগুলো হলো- অস্থায়ী বা সাময়িক, শিক্ষানবিশ এবং স্থায়ী।
বিলে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমকর্মীকে সপ্তাহে অন্যূন ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। এর বেশি কাজ করাতে চাইলে অধিকাল (ওভার টাইম) ভাতা দিতে হবে।
আগে গণমাধ্যম কর্মীরা চলতেন ‘দ্য নিউজপেপার এমপ্লয়িজ (চাকরির শর্তাবলী) আইন- ১৯৭৪’ এর আওতায়। এর সঙ্গে শ্রম আইনের কিছু বিষয় সাংঘর্ষিক হচ্ছিলো।
পরে সাংবাদিকদের শ্রম আইনের আওতায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের শ্রমিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
এই বিল পাস হলে গণমাধ্যমকর্মীরা আর শ্রমিক থাকবেন না, তাদের গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে অভিহিত করা হবে।
এটিভি বাংলা/ফয়সাল
Leave a Reply