ডেস্ক রিপোর্ট :
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের ৭টি স্টেইটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশের দক্ষিণ এবং মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট তীব্র বাতাস, বৃষ্টি, টর্নেডো এবং দাবানলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১২ জনই মিযৌরির বাসিন্দা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে এসব অঞ্চলের কয়েকশো হাজার গ্রাহক। এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে পাওয়ার আউটরেজ ডট ইউএস। এরিমধ্যে বিভিন্ন স্টেইটে ফুটে উঠছে বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
দেশের সাউথ এবং মিডওয়েস্টের মিযৌরি, আরকানসা, ওকলাহোমা, টেক্সাস, ক্যানসাস, মিসিসিপি ও অ্যালাবামায় তীব্র বাতাস, ভারী বৃষ্টি, টর্নেডো আঘাত হেনেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এসব অঞ্চলে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। এরিমধ্যে বিভিন্ন স্টেইটে ফুটে উঠছে বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। টর্নেডোর আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়ি ঘর দেখতে যান নিরাপদে আশ্রয় নেয়া বাসিন্দারা।
শুক্রবার রাতে টর্নেডো আঘাত হানার আগে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে তার পরিবারকে রাজি করান মিযৌরির ৯ বছর বয়সি শিশু আলেয়া। পরে টর্নেডো আঘাত হানার মাত্র কয়েক মিনিট আগেই পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান আলেয়ার মা ক্যালসি ওয়েব। টর্নেডো আঘাতে বাড়ি ঘর ছাড়াও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় মিযৌরির সেন্ট লুইসের বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। তীব্র বাতাসে উল্টে যায় ট্রাক্টর-ট্রেইলারও।
সেসময় ঘন্টায় ৮০ মাইল বেগে সাউথ থেকে মিডওয়েস্টে বয়ে যায় তীব্র বাতাস। টর্নেডোর প্রভাব দেখা গেছে লুইযিয়ানাতেও। এতে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয় বেশ কিছু বাড়িঘর। এমনকি ঝড়ের প্রভাবে আরকানসাতে ভেঙ্গে পড়েছে গাছ। এছাড়াও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদ্যুতহীন অবস্থায় আছে এসব অঞ্চলের কয়েকশো হাজার গ্রাহক। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন স্টেইটে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, টর্নেডোর আঘাতে অ্যালাবামার একটি স্কুল ভবনের ওপরে একটি বাস পড়ে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে, শুস্ক আবহাওয়া ও তীব্র বাতাসের কারনে ওকলাহোমায় ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। স্টেইট জুড়ে ১৩০টি দাবানলের কারণে বাড়ি ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বহু পরিবার। প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগের শঙ্কা কাটিয়ে সন্তানদের সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জোগান মা ক্যালসি ওয়েব।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply