আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:
ক্রেমলিন হুমকি দিয়েছে, অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া। বুধবার এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ক্রেমলিনের একজন মুখপাত্র। এদিকে, অবরুদ্ধ মারিওপোল শহরে লক্ষাধিক মানুষ খাবার ও পানির সংকটে রয়েছে। আর দনেৎস্কে একটি শহরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফসফরাস অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
মানবিক সংকটে মারিওপোলের অবরুদ্ধ বাসিন্দারা। খাবার ও পানি সংকটের মধ্যে দিন পার করছেন লক্ষাধিক মানুষ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, খেরসনেও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে খাবার ও ওষুধ সামগ্রী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, মারিওপোলে অনবরত বোমা হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঙ্গুশের কাছে রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার কর্মচারী ও বাস চালকদের বন্দি করা হয়েছে। আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে ও মানবিক সহায়তা বহনকারীদের চলাচল বাধামুক্ত করতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা আমাদের সব প্রচেষ্টা বিনষ্ট করছে।
কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, লুহানস্ক ও দনেৎস্কে ২ হাজারের বেশি ইউক্রেনিয় শিশুকে অপহরণ করেছে রাশিয়ার সেনারা। দনেৎস্কের ক্রামাতোর্স্ক শহরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফসফরাস অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পশ্চিমা নেতাদের সতর্কবার্তার জবাব দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। মঙ্গলবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, আমাদের পথে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, রাশিয়া জনগণের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে, মস্কো তাকে জবাব দেবে, সে যেই হোক না কেন।
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ন্যাটোর মিত্রদের সাথে বৈঠক করতে ইউরোপ সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্মেলনে রাশিয়ার আইনপ্রণেতাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ন্যাটো সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের রসদ ফুরিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের সামরিক কমান্ডাররা। তাদের হাতে আর মাত্র তিনদিন যুদ্ধ চালানোর মতো খাবার, জ্বালানি ও অস্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেন তারা। পেন্টাগনের এক উর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, অভিযানের আগের তুলনায় রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতা ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।তীব্র শীতে রুশ বাহিনী নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
এটিভি বাংলা/আমান
Leave a Reply