শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের সাবধানি ব্যাটিংয়ে ৪৬ পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে ৯ ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ ছিল ৪৬ রান। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে কিপারের মাথার উপর দিয়ে উড়িয়ে চার মেরে ৪৬ থেকে টপকে ৫০ রানে নিয়ে যান তামিম।
অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে সুইং করে ভেতরে ঢোকা বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন তামিম। ব্যাটে খেলতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে নেন রিভিউ। তবে কোনো কাজ হয়নি, বল লাগতো মিডল স্টাম্পে। ভাঙে ১৩০ বল স্থায়ী ৯৫ রানের জুটি।
দক্ষিণ আফ্রিাকায় ওয়ানডে এটাই বাংলাদেশের সেরা জুটি। আগের সেরা ছিল ২০১৭ সালে তৃতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমের ৯৩। ছন্দে থাকা লিটন দাস বড় করতে পারলেন না ভালো শুরুটা। তামিম ইকবালের মতো আরেকটি নিচু হওয়া বলে বোল্ড হয়ে গেলেন ডানহাতি এই ওপেনার।
এ সফরে থাকার কথা ছিল না সাকিব আল হাসানের। তারপরও প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে নেমে পায়ের পেশিতে টান পড়তেও দেখা যায় তার। তাও দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ‘ফিফটির ফিফটি’। ছক্কা হাঁকিয়েই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫০তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাকিব। ইয়াসির রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন তিনি।
এই ম্যাচেই তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ৯৫ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের সেরা জুটি। সেটাকে দুইয়ে নামিয়ে দেশকে প্রথম শতরানের জুটি এনে দেব সাকিব আল হাসান ও ইয়াসির আলি চৌধুরি, সেটাও কেবল ৭২ বলে।
এরপর স্কয়ার লেগে ১৭ রান করে ধরা পড়েন আফিফ। পুল করে চমৎকার ছক্কা মারার পর বেরিয়ে এসে অফে তুলে মারতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মার্কো ইয়ানসেনের স্লোয়ার বলে টাইমিং করতে পারেননি তিনি। ধরা পড়েন পয়েন্টে। ২৫ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ এরপর ওভার শেষ হওয়া ৩১৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের আগের সেরা ছিল ৭ উইকেটে ২৭৮। ২০১৭ সালের সফরে প্রথম ওয়ানডেতে ওই রান করেও হেরেছিল ১০ উইকেটে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩১৪/৭ (তামিম ৪১, লিটন ৫০, সাকিব ৭৭, মুশফিক ৯, ইয়াসির ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, আফিফ ১৭, মিরাজ ১৯*, তাসকিন ৭*; এনগিডি ১০-১-৭৫-১, রাবাদা ১০-০-৫৭-১, ইয়াসেন ১০-১-৫৭-২, মহারাজ ১০-০-৫৬-২)
এটিভি বাংলা/ফয়সাল
Leave a Reply