ডেস্ক রিপোর্ট :
আয়নাঘরের মাঝের দেয়াল গুলো নেই। দেয়ালে লেখা বন্দিদের আত্মচিৎকার এর সেই গল্পগুলো লেখনিগুলোও নেই। নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন এসব তবে গেলো কোথায়? গোপন সূত্রের খবর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আয়নাঘর পরিদর্শন করুক আর বিশ্বব্যাপী ফেসিস্ট হাসিনার নির্মমতা ছড়িয়ে পরুক তা চায়নি প্রশাসনে এখনো থেকে যাওয়া আওয়ামী লীগের দালালেরা।
তহমিনা সুপ্তি নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, কতটা ভয়ঙ্কর এই আয়নাঘর। যদি দেয়াল গুলো ভাঙা না থাকতো তাহলে আরো কতটা ভয়ানক দেখাতো আমি সেটাই ভাবছি। এদিকে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নেটিজেনদের প্রশংসার জোয়াড়ে ভাসছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তাদের মতে সেনাপ্রধানের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, ইলেকট্রিক শক দেওয়ায় একটি চেয়ার। এটি নিয়েও হাসিনাকে তুলোধুলো করছেন নেটিজেনরা। অপরদিকে ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মহমুদ ও নাহিদ ইসলামকেও এই আয়নাঘরেই বন্দি করে রাখা হয়েছিলো বলে জানান তারা।
ফেসিস্ট হাসিনা রাষ্ট্রের প্রশাসনকে ব্যবহার করে তৈরী করেছিলো আয়নাঘর। তার বিরুদ্ধে যারাই আওয়াজ তুলতো তাদেরকেই এখানে এনে চালাতো নির্যাতন। করা হতো হত্যা, গুম। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ফেসিস্ট এর তৈরী আয়নাঘর পরিদর্শন ও নির্যাতিতদের নির্যাতন হবার গল্পটা সেখানে দাঁড়িয়েই শোনাটা বিরল। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস এমন নজিরই গড়লেন। সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন জানিয়ে দিলেন মুখোশের আড়ালে স্বৈরাচার হাসিনা কতটা ভয়ানক ছিলেন।
এটিভি বাংলা / হৃদয়

Leave a Reply