হামাসকে ট্রাম্পের হুমকি কেন?

ডেস্ক রিপোর্ট :

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস আগামী শনিবারের মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রস্তাবে সম্মত না হলে জর্ডান ও মিশরের জন্য বরাদ্দ সহায়তা আটকে দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ এমন হুমকি দেয়ার উদ্দেশ্য কী মার্কিন প্রেসিডেন্টের?

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এর মধ্যেও পশ্চিম তীরে অব্যাহত থাকে ইসরাইলি আগ্রাসন। যুদ্ধবিরতির পর এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনিকে ঘরছাড়া করেছে ইসরাইলি বাহিনী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবারও (১১ ফেব্রুয়ারি) অন্তত ১০টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি পরিবারকে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়।

এর মধ্যেই, উত্তরাঞ্চলে গৃহহীনদের ফেরত পাঠানোতে বিলম্ব, বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ, মানবিক সহায়তায় বাধা দেয়াসহ বেশ কিছু কারণে ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির সময় পিছিয়ে দিয়েছে হামাস।

যদিও হামাসের এই ঘোষণাকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে দাবি করছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেন, হামাসের এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। আর ইসরাইলের সাবেক নিরাপত্তা বিষয়কমন্ত্রী ইতামার বেন গাভির হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আবার যুদ্ধ শুরু করে সব ধ্বংস করে ফেলতে হবে। তবেই হামাস নির্মূল হবে।’

ইসরাইলের পাশাপাশি হামাসের জিম্মি মুক্তির স্থগিতের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আগামী শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া না হলে যুদ্ধবিরতি বাতিল করা হবে।

ট্রাম্প আরও বলেন,

শেষ সিদ্ধান্ত ইসরাইলই নেবে। তবুও আমার পক্ষ থেকে বলতে চাই, আগামী শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব জিম্মিদের না ছাড়লে, আমার মনে হয় এটাই উপযুক্ত সময় যুদ্ধবিরতি বাতিল করার। যুদ্ধবিরতি বাতিল করে দেয়া হোক।

 

এর আগে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে মিশর ও জর্ডানে পুনর্বাসনের পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। তার এ প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে আরব দেশগুলো। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রস্তাবে সম্মত না হলে জর্ডান ও মিশরের জন্য বরাদ্দ সহায়তা আটকে দেয়ার কথা ভাবছেন তিনি।

এদিকে, হামাসের জিম্মি মুক্তি স্থগিতের ঘোষণার পর বিক্ষোভ শুরু হয় তেল আবিবে। নেতানিয়াহু সরকারের কাছে যুদ্ধবিরতি বাতিল না করার দাবি জানান স্বজনরা। এসময় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

 

এটিভি বাংলা / হৃদয়

 


Posted

in

, ,

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *