ডেস্ক রিপোর্ট :
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে নার্সিঙে গ্র্যাজুয়েশন। চাকরি করছিলেন হাসপাতালে। ঢাকায় নটরডেম কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন ১৯৯৫ খৃস্টাব্দে।
উত্তম মজুমদারের আত্মীয়দের কাছ থেকে যেটুকু জানা গেছে, তাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জীবনযাপনের জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন নির্জনতাকে। একা থাকতেন নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সে নিজের এপার্টমেন্টে। টেলিফোন ছিলো না তার। বাসায় ইন্টারনেটও ছিলো না।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন উত্তম মজুমদার। জন্ম ১৯৭৪ খৃস্টাব্দে। সেই হিসেবে তিনি ৫১ বছর বয়সী। বাবা মা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আত্মীয় বলতে তার আপন ভাগ্নি আছেন একজন। তিনি থাকেন ফ্লোরিডায়। কাছের সম্পর্কের এক চাচা থাকেন ব্রুকলিনে। নাম আদিত্য মজুমদার। প্রবাসী টিভির ভিডিও দেখে তিনি কল করেন আমাকে, শনিবার দুপুরে। জানান, সিটির মর্গে পড়ে থাকা মরদেহ তার ভাতিজা উত্তম মজুমদারের হতে পারে। আমার রিপোর্টে নাম আর জন্ম তারিখ ছাড়া উত্তম মজুমদারের বিস্তারিত কিছু ছিলো না। ছবিও নয়। এ কারণে, আদিত্য মজুমদার নিশ্চিত করতে পারছিলেন না কিছু। এর মধ্যে তিনি ফ্লোরিডা থেকে উত্তম মজুমদারের ছবিবসংগ্রহ করলেন। সেই ছবি নিয়ে গেলে ফ্লাশিঙে, উত্তম মজুমদার যেখানে থাকতেন। সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা ছবি দেখে নিশ্চিত করলেন, ছবির ব্যক্তি প্রবাসী টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা উত্তম মজুমদার।
এটিভি বাংলা / হৃদয়

Leave a Reply