ডেস্ক রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহের জেরে লালমনিরহাটে দুলাভাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় হাজতে থাকা শ্যালকের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ মাস কারাদন্ডের রায় দেয় আদালত। রায়ে অপর আসামি বাবলুর মা মোছা. রশিদা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আব্দুল আলিম ওরফে বাবলু। সে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কিসামত চোংগাদারা এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার রমনীগঞ্জের বাসিন্দা ইউনুছ আলীর ছেলে এরশাদ আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় সদর উপজেলার চোংগাদারা এলাকার রশিদা বেগমের মেয়ে সুলতানা বেগমের। বিয়ের চার বছর পর কলহের জেরে স্ত্রী স্বামীর বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়ী চলে আসে। স্ত্রীকে নিতে স্বামী এরশাদ ২০১৭ সালের ১২ জুলাই শশুরবাড়িতে যায়। সেখানে ওই বছরের ১৬ জুলাই স্বামী স্ত্রীর মাঝে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে শাশুড়ী ও শ্যালকের সাথে কথা-কাটাকাটিতে জরায় এরশাদ। সে কলহের জেরে সৃষ্ট ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শ্বাসরোধে হত্যার শিকার হয় এরশাদ। ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী শাশুড়ী ও শ্যালককে আটক করে গত ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই পুলিশ ও এরশাদের পরিবাকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে গত ৩১ মার্চ ২০১৮ সালে শাশুড়ী রশিদা বেগম ও শ্যালক বাবলুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
লালমনিরহাট জেলা ও জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আকমল হোসেন বলেন, এরশাদ হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন হয়। বিচার পেতে আদালতে ২১ জন সাক্ষিকে উপস্থাপন করা হয়। আদালত এরশাদকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অর্থ অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ডের রায় দেয় আদালত।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply