ডেস্ক রিপোর্ট :
কুড়িগ্রামে তিন দিন বিরতির পর ফের মৃদু শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা করছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। আজ শনিবার সকালে জেলার রাজারহাট উপজেলা কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিন তাপমাত্রা বেশ বাড়লে শীতের প্রভাব কমে যায়। কিন্তু এরপর আজ থেকে তাপমাত্রা আবারও কমতে থাকে।
তবে এ তাপমাত্রা দিনে দিনে আরো কমবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। কিন্তু শনিবার তা দ্রুত নিম্নগামী হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারিতে দুই একটি শৈত্য প্রবাহ মাঝারি কিংবা মৃদু এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
এদিকে, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মৃদু ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহ থাকায় মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মাউশির দেয়া চিঠি মতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সে মোতাবেক কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় ৬ দিন শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকে। আবারও মৃদু কিংবা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা আসতে পারে বলে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
গত ২৮ জানুয়ারি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা থাকলেও ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পেলে জেলার মাধ্যমিক স্কুল খুলে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয় জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে। পরবর্তীতে ২৯ জানুয়ারি থেকে সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়।
এদিকে, গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা বোরো চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনভর প্রস্তুত করছেন জমি। তুলছেন বোরো বীজ চারা। প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহ ও অতিরিক্ত ঠাণ্ডা এবং ঘন কুয়াশার কারণে চলতি বছরের বোরো আবাদ বিলম্বিত হয়। কিন্তু গত দুদিন তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এ জেলার কৃষকরা বোরো আবাদে মনোযোগ দেন। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ঠাণ্ডার প্রকোপে আলুর গোড়ায় লেট ব্লাইট বা গোড়া পচন রোগ দেখা দিলেও এ কয়েকদিনে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে কৃষকদের মাঝে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো আবাদে বীজের আর কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply