ডেস্ক রিপোর্ট :
কোন আসনে কে পাস কে ফেল সব তার হাতে পূর্বনির্ধারিত জানিয়ে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিরোধীদের ওপর বুলডোজার চালানোর পর নজিরবিহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা। গোটা বাংলাদেশ এখন তার হাতে জিম্মি হয়ে গেছে।
আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, উত্তর কোরিয়া মডেলের এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ছিলেন নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ ডামি, কেউ মনোনীত, কেউ নৌকা, কেউ ভোট জমাতে হায়ারকৃত সবাই তার প্রার্থী। কোন আসনে কে পাস কে ফেল সব তার হাতে পূর্বনির্ধারিত।
রিজভী বলেন, ২৮ পারসেন্ট থেকে ৪১ পারসেন্ট ভোট কাউন্ট করার ফর্মূলাও তার। যদিও ভোটার উপস্থিতি ছিল মাইক্রোস্কোপিক। সুতরাং শেখ হাসিনার এক হাতের মুঠোয় যে সবকিছু, তা প্রমাণ করে বিশ্বে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের নতুন মডেল হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রতারণা, শঠতা, মিথ্যাকে যদি কোনো শিল্প ধরা হয়, তাহলে শেখ হাসিনা সেই শিল্পের নিপুণ কারিগর। তার এই নব উদ্ভাবিত বাকশালের লেটেস্ট ভারসনকে গোটা দেশসহ বিশ্ববাসী ছুঁড়ে ফেলেছে। ভোটারবিহীন ডামি নির্বাচন, ফলাফল, ভোটের হার বাড়ানোর ছেলেখেলা— তামাশা—নাটক সবকিছুই নিবিড়ভাবে অবলোকন করেছে সমস্ত পৃথিবীবাসী—মিডিয়া—সরকার—পর্যবেক্ষকগণ।
রিজভী অভিযোগ করেন বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অকথ্য নির্বাচন ও পৈশাচিক অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাবন্দি হয়ে এখনও এক দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে। সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন-যাপন করছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রুক্ষেপ করছে না। কয়েক সপ্তাহে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের দুর্বিষহ উৎপীড়নের সাথেই কেবল শেখ হাসিনার কারাগারের মিল পাওয়া যায়।
অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply