জাপানে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯২, নিখোঁজ ২৪২

ডেস্ক রিপোর্ট :
জাপানের মধ্যাঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ জনে। এ ঘটনায় নিখোঁজের সংখ্যা ২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে ভূমিকম্পে ধসে পড়া বাড়ির নিচে আটকা পড়াদের বেশিরভাগই দেশটির সুজু এবং ওয়াজিমা শহরের বাসিন্দা।

গত সোমবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। এতে ভবন ধসে পড়েছে, রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে এবং হাজারও ঘরবাড়ির বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন হাজারও সেনা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ সদস্য। যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় উদ্ধারকারীদের সব জায়গায় পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে। তবে তাদের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া কুকুর।

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরো কিহারা মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘গতকাল পর্যন্ত ১২২ জনকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। যার মধ্যে উয়াজিমা শহরের এক বৃদ্ধা রয়েছেন। যাকে জেনিফার নামে একটি কুকুর খুঁজে পেয়েছে এবং উদ্ধার করেছে।’

নোটো উপদ্বীপের বন্দর নগরী ওয়াজিমা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাতাসে এখনও লাশের তীব্র গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রথম দিনে ধ্বংস হয়ে যাওয়া শত শত স্থাপনা থেকে এখনো ধোঁয়া উঠছে।

জাপান প্রতি বছর শত শত ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়, তবে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে কঠোর বিল্ডিং কোড মেনে চলায় বেশিরভাগ ভূমিকম্পে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। গত পাঁচ বছরে তীব্র শক্তি ও ফ্রিকোয়েন্সি সম্পন্ন ভূমিকম্পগুলো নোটো অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।

দেশটি ২০১১ সালে সমুদ্রের নীচে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্মূখীন হয়। ওই ভূমিকম্প সুনামি হলে এতে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার লোকের প্রাণহানি হয় বা নিখোঁজ হয়। দুর্যোগটিতে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রটি জলাবদ্ধ হয়ে পড়লে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পরমাণু বিপর্যয়গুলোর অন্যতম বিপর্যয়ে পরিণত হয়।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *