ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আবার ওজন কমানো সম্ভব না কি! এই প্রশ্ন মনে জাগা খুবই স্বাভাবিক। মজা নয়, সত্যিই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম ওজন কমানোর জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।আর সেই সঙ্গে ঘুমানোর আগে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে মনের মতো চেহারা পেতে বেশি দিন কিন্তু সময় লাগবে না।
অতিরিক্ত ১ ঘণ্টা ঘুম কোনও পরিশ্রম ছাড়াই ২৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে। আর প্রতিদিন যদি কেউ ২৭০ ক্যালোরি ফ্যাট বার্ন করতে পারে তাহলে বছরে প্রায় ৯ পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি।
বিছানায় যাওয়ার আগে নিতে হবে এক গ্লাস প্রোটিন শেক। এটা সারা রাত ধরে হজম হতে থাকে। ফলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে ধীরে ধীরে অ্যামিনো এসিড নিঃসরণ করে। এজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রোটিন শেক খাওয়া উচিত। ঘুমানোর সময় পেশির ক্ষয় কমাতেও এটা সাহায্য করে।
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে যে কম তাপমাত্রায় ঘুমানোর ফলে শরীরের এক্সট্রা ক্যালোরি বার্ন হতে থাকে। আসলে কম তাপমাত্রায় ঘুমোলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবে কমে যায় আর এই সময় শরীরের তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য শরীরের ভেতরে জমে থাকা এক্সট্রা ক্যালোরি খরচ হতে শুরু করে। ফলে,শরীরের চর্বি ঝরতে থাকে।
অনেকেই রাতে হালকা খাবার খান। চিকিৎসকরাও সেটাই বলেন। কিন্তু একদম খালি পেটে ঘুমাতে যাওয়া চলবে না। গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘুমের আগে ৩০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করলে ঘুমন্ত অবস্থায় শরীরের ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে। তাই রাতে হালকা প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে।
ঘুমের সময় চোখে স্লিপিং মাস্ক দারুণ কাজ দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্ধকারে ঘুমালে শরীর মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন হয়। যা ঝটপট ঘুমোতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরে উৎপাদিত হবে ব্রাউন ফ্যাট যা চটজলদি শরীরের ক্যালরি বার্ন করতে সহায়ক। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে, ঘুমানোর সময়ে মানুষের শরীরের গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন নিঃসরণ হলে ফ্যাট বার্ন হতে থাকে। এছাড়া শরীরের পেশিগুলিও শক্ত হতে থাকে।
এটিভি বাংলা/ফয়সাল
Leave a Reply