আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দুবাইয়ে আয়োজিত ’রিডিফাইনিং দ্য ফিউচার ফর উইমেন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আয়োজনে অংশ নেন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রাষ্ট্র গঠনে সংবিধানের মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, সেই সংবিধানে বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ প্রায় ২১ বছর ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীল সামরিক শাসনের সময় নারীদের কোথাও কোনও স্থান ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যে যাত্রা, সে পথ ততটা সহজ ছিল না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ তার সুবিধা পায় তা মানুষ এখন বুঝতে। তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা বিষয় অনুধাবন করতে হবে, নারী কেবল নারী নয়। নারীরা হলেন মা। তাই মায়ের মমতায় যদি আপনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, অবশ্যই জনগণ আপনাকে সমর্থন দেবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সবক্ষেত্রে নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণ তার সুবিধাভোগী হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দীর্ঘদিন নারী নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশের পুরুষ জনগোষ্ঠীও সহযোগী মানসিকতার বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে নারীদের উন্নয়নে কাজ শুরু করে। তিনি বলেন, আমি যখন সরকার গঠন করি, তখন কোথাও নারীর কোনো জায়গা ছিল না। তারা ছিল পুরোপুরি অবহেলিত। আমরা তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি। একজন নারী হিসেবে অবশ্যই সমস্যা রয়েছে, কিন্তু আমাদের পুরুষ সহকর্মীরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন বলে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। এটা আমার শক্তি।
এ সময় নারীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এটিভি/ফয়সাল
Leave a Reply