ডেস্ক রিপোর্ট :
গাজা উপত্যকার জাবালিয়া ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি সেখানকার হাসপাতালগুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গটি খুঁজে পেয়েছে। ইসরায়েলে হামলা চালাতে হামাস এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে আসছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর আলজাজিরার।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একজন বাসিন্দা জানান, সেখানে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৯০ জনের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা ও উদ্ধারকর্মীরা আরও মৃতদেহ বের করে আনতে ও আহতদের উদ্ধার করতে ধ্বংসস্তুপ খুঁড়তে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
ফিলিস্তিন ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জাবালিয়ায় বেসামরিক লোকজনের বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় অনেক লোক আহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালে অভিযান শেষ হয়েছে এমন ঘোষণা দেওয়ার পরেও গাজার নাসের হাসপাতালে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ওই হামলায় হাসপাতালটির প্রসুতি বিভাগের এক শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গ্যাব্রেয়াসুস বলেছেন তিনি গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এছাড়া আল শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতিকে তিনি ‘পুরোপুরি ভয়াল দৃশ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন বলে জানা গেছে। আলজাজিরার একটি ভিডিওতে ওই হামলার পর একটি সরু ও অন্ধকারাচ্ছন্ন গলিপথে উদ্ধার কর্মীদের দেখা যায় আহত লোকজনকে সরিয়ে নিতে। এই শিবিরটিতে এর আগেও কয়েকবার হামলা করেছে ইসরায়েল।
ওয়াফার প্রতিবেদনে জানানো হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও রাতের বেলায় অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার কালকিলিয়া এলাকায় ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে দুজন আহত হয়েছে। এছাড়া পশ্চিম তীরের নাবলুস, জেরিকো, হাবলা, ধেইশে, ইয়াত্তা প্রভৃতি এলাকাগুলোতেও ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান আবারও হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় করতে মধ্যস্থতাকারীদের সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply