এবার পদ্মা সেতু পাড়ি দিবে লোকাল ট্রেন

ডেস্ক রিপোর্ট :
কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে আরো দুটি ট্রেন পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা যাবে। এর মধ্যে একটি লোকাল ট্রেনও রয়েছে। এতে মাত্র ১৪৫ টাকায় ঢাকা যেতে পারবেন কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষ। সব মিলিয়ে দিন-রাতে বিভিন্ন সময়ে ৪টি ট্রেনে অল্পসময়ে ও অল্প খরচে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন তারা।

মধুমতি এক্সপ্রেস ও নকশীকাথা মেইল ট্রেন দুটি কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে আগে থেকেই চলাচল করতো। ১লা ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে চলে যাবে ঢাকা পর্যন্ত।

কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের বুকিং ইনচার্জ মো. সাইদুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা নকশীকাথা মেইল ট্রেন কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে। থামবে কুষ্টিয়া নামে অন্য স্টেশনে, কুমারখালী ও খোকসাতেও। এটি ঢাকা পৌঁছাবে ৯টা ৪৭ মিনিটে। ফিরতি ট্রেন ঢাকা থেকে ছাড়বে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে, কুষ্টিয়া পৌঁছাবে বিকাল ৫টা ১৪ মিনিটে। এই ট্রেনে কুষ্টিয়া-ঢাকা শোভন শ্রেণির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৫ টাকা মাত্র। যেখানে বাসে ঢাকা যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া লাগে সাড়ে ৫শ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বান্না এক্সপ্রেস এই ট্রেন পরিচালনা করেন। তারা স্টেশনে স্টেশনে কাউন্টার বসিয়ে ম্যানুয়ালি টিকিট বিক্রি করেন। এই ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না।

আর সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা মধুমতি এক্সপ্রেস ঢাকা পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। এটি কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে যাবে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে। এর ফিরতি ট্রেন ঢাকা থেকে বিকাল ৩টায়, কুষ্টিয়ায় পৌঁছাবে ৭টা ৩৭ মিনিটে। এই ট্রেনের শোভন শ্রেণির ভাড়া ধরা হয়েছে ২৯০ টাকা। এই শ্রেণিতে কুষ্টিয়ার জন্য ৫০টি সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও গত একমাস ধরে কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচল করছে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। এ দুই ট্রেনে সন্ধ্যা ও মধ্যরাতে ঢাকার উদ্যেশ্যে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে সকালে ও দুপুরে।
বুকিং ইনচার্জ মো. সাইদুজ্জামান বলেন, এসব ট্রেনের টিকিটের অনেক চাহিদা। সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্যও প্রতি ট্রেনে অর্ধশতাধিক স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে এসব ট্রেন চালু হওয়ায় কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন এলাকা সরগরম হয়ে উঠেছে। সবসময় ভিড় লেগে থাকছে মানুষের। স্টেশনের বাইরে রিক্সা সিএনজি ও অটো রিক্সার লাইন লেগে যাচ্ছে। তবে অনেক পুরাতন এই স্টেশনটি আধুনিক করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

সোহেল রানা নামের এক যাত্রী বলেন, স্টেশনটির প্লাটফম তুলনামূলক ছোট। এ কারণে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি প্লাটফরমের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে এসি বার্থ কামরায় যেতে হলে অন্য কামরায় উঠে তারপর ভেতর দিয়ে হেটে যেতে হচ্ছে। ট্রেনের মধ্যে ভিড় থাকায় অসুস্থ ও বয়স্কদের মালামালসহ যেতে খুব সমস্যা হচ্ছে।

আরেক যাত্রী রবিউল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ার স্টেশনগুলোতে প্লাটফরম তুলনামূলক নিচু হওয়ায় দ্রুত উঠতেও অসুবিধা হচ্ছে।

অন্যদিকে এসব ট্রেনে সহজে ঢাকা যাতায়াত করতে পারায় টাকা ও সময় বাঁচছে কুষ্টিয়ার মানুষের। এতে বেশ খুশি তারা। ব্যবসায়ী নেতা জাকিরুল ইসলাম বলেন, এতে অর্থনীতিতেও গতিশীলতা আসছে। সহজেই যে কোন সময় ঢাকা চলে যাওয়া যাচ্ছে। কাজ শেষে হোটেলে না থেকে আবার ফিরেও আসা যাচ্ছে।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *