ডেস্ক রিপোর্ট:
গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রাজধানীসহ সারা দেশে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭৭ জনে। মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ জন ও নারী ৬ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১ জন মারা যান।
শনিবার (৫ই মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। একই সময়ে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩৬৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৭৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৭ হাজার ৪১৪টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ৪৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৭ জনে। আর মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৮০৯টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ৪ হাজার ১৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জনে। রোগী সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, পঞ্চাশোর্ধ ৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২ জন এবং আশি বছরের বেশি বয়সী ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভাগীয় হিসেবে করোনায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, বরিশালে ২ জন, রংপুর এবং ময়মনসিংহে ১ জন করে মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু এবং ৬০৪ জন রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ই মার্চ।
ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানান হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ।
এটিভি বাংলা/ফয়সাল
Leave a Reply