মেয়র দিমিত্র অরলভ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভবন ও ব্লকগুলোতে শত্রুদের নিরলস গোলাগুলিতে আগুন লেগেছে।’ দমকলকর্মীরা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগুন নেভাতে পারছে না বলেও জানান তিনি।
অন্য এক ভিডিওতে তিনি বলেন, দয়া করে থামুন। জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গোলাগুলি বন্ধ করুন।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা লিখেছে, রুশ সেনারা জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চতুর্দিক থেকে গুলি চালাচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আগুন জ্বলছে।
দিমিত্র কুলেবা এক টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যদি বিস্ফোরিত হয়, তবে এটি চের্নোবিলের চেয়ে দশগুণ বড় আকারের বিস্ফোরণ হবে।’ তিনি অপর একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উল্লেখ করে বলেন, সেখানে ৩৬ বছর আগে বিস্ফোরণ ঘটেছিল কিন্তু সেখান থেকে এখনো তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, রুশ বাহিনীর অবিলম্বে আগুন বন্ধ করতে হবে। সেখানে অগ্নিনির্বাপকদের যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। একটি নিরাপত্তা বলয় স্থাপন করতে হবে।
তবে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ বলেছে, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইএইএ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল এমগ্রোসি ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগালের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তারা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি।
আল জাজিরার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে জানায়নি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply