1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন

বিদ্যুৎহীন গাজা, মোবাইলের আলোয় চলছে চিকিৎসা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৮৫ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে আমাদের গাজা উপত্যকা। বিশেষ করে আমাদের স্বাস্থ্য নীড়। ইসরাইলের বিবেক শূন্য হামলায় সৃষ্ট বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতিতে গাজার সব স্বাস্থ্য সুবিধা প্রায় বন্ধের পথে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন শত শত রোগী। জ্বালানি সংরক্ষণে হাসপাতালের লাইটগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ কিছুটা বাঁচানো যায় কিনা সেই চেষ্টায় আছেন হাসপাতালের কর্মীরা। দক্ষিণ হাজার খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালের শুধু নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে এখনো আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের কিছু কিছু বিভাগে মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে চিকিৎসা কাজ চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জ্বালানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, ওষুধ নেই-এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই লাশের বহরে আরও বাড়বে আমাদের প্রিয়জনের মুখ!

কথাগুলো বলেছেন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডা. মেধাত আব্বাস। গাজার হাসপাতালের নিদারুণ পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন তিনি।

ডা. মেধাত আব্বাস বলেন, শুধু বেসামরিক স্থাপনা বা হাসপাতালগুলো নয়-গুরুতর রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলোকেও সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরাইল। গত ১৫ দিনের হামলায় ২৩টি অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও দুঃখজনক হলো, ধ্বংস করে দিয়েছে হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তাগুলোও। যার কারণে অনেক আহতই হাসপাতালে পৌঁছাতে পর্যন্ত পারছেন না।

স্বাস্থ্যকর্মীদেরও ছাড় দিচ্ছে না ইসরাইল। ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৭০ জন। আমাদের হাতে আসা শেষ রিপোর্ট (শনিবার) পর্যন্ত ১৯টি স্বাস্থ্য সুবিধাকেন্দ্রকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে গাজা উপত্যকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক পরিচর্যা ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত ১৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও জ্বালানি সংকটের কারণে জাবালিয়ার ইয়েমেন আল-সাইদ হাসপাতালে প্রাথমিক পরিষেবাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বারবার হামলার শিকার হয়ে চারটি হাসপাতাল তাদের পরিষেবা বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। বেইট হনুন হাসপাতাল, ডোরা শিশু হাসপাতাল, কারামা হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক চক্ষু হাসপাতাল। আমাদের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের) সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হলো স্থানাভাব বা শয্যা সংকট। বর্তমানে হাসপাতালগুলোর ১৫০ শতাংশের বেশি শয্যায় সক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত রোগী। নিরুপায় হয়ে রোগীরা হাসপাতালের মেঝে বা ওয়ার্ড করিডরের গলিতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এত বাধা-সংকট সত্তে¡ও ১৮টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক পরিচর্যা পরিষেবা প্রদান চালিয়ে যাওয়ার ওপর দৃষ্টি দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এসব হাসপাতালে কোনো ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী অথবা জ্বালানির মজুত নেই।

আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সব চিকিৎসা ও মানবিক প্রতিষ্ঠানকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এখনো জানাচ্ছি। পাশাপাশি ইসরাইলি বাহিনীকে অবিলম্বে চিকিৎসাকর্মী, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সের মতো বেসামরিক জায়গাগুলোতে হামলা বন্ধেরও আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। আন্তর্জাতিক আইন ও মৌলিক মানবিক বাধ্যবাধকতা যেন ইসরাইল মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে দেশটির ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার বিকাল পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৩৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ শিশু। ৯৬৭ জন নারী। আহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৬১ জন। আমি নিশ্চিত এ সংখ্য আরও বাড়বে। কিন্তু আমরা তা চাই না। প্রতিদিন এতো লাশ আর দেখতে পারছি না আমরা। এতো চিৎকার, হাহাকার আর শুনতে পারছি না, বলেন ডা. মেধাত আব্বাস।

এটিভি বাংলা/স্বাধীন

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech