নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের সবশেষ গিনেস বুক রেকর্ড মুনতাকিম উল ইসলামের ফুটবল ফ্রি-স্টাইলের রেকর্ড। ১৬ বছর বয়সী এই তরুণ হাতের স্পর্শ ছাড়া মাথার চারপাশে ৩০ সেকেন্ডে ২৭ বার ফুটবল ঘুরিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ২৫ বারের।
ফুটবল নিয়ে কসরত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশের তরুণ মুনতাকিম। হাতের স্পর্শ ছাড়া মাথার চারপাশে ফুটবল ঘোরানোকে গিনেস কর্তৃপক্ষের ভাষায় বলা হয় ‘অ্যারাউন্ড দ্য মুন ফুটবল কন্ট্রোল ট্রিকস ইন থার্টি সেকেন্ডস’।
৩০ সেকেন্ডে ২৭ বার এ কীর্তি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নিজের নাম তুলেছেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের তরুণ মুনতাকিম উল ইসলাম। এর আগে এ রেকর্ডটি ছিল ২৫ বার।
এক বছর ধরে ফুটবল নিয়ে ফ্রিস্টাইলিং করছিলেন মুনতাকিম। আর গত ছয় মাসে দৈনিক দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মুনতাকিম এমন টাইমিং করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
তবে এখানেই না থেমে ফুটবল ফ্রিস্টাইলিংয়ের আরও বিভিন্ন শাখায় নিজের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাম লেখাতে চান তিনি।
মুনতাকিমের বাবা শরিফুল ইসলাম পেশায় একজন ব্যাংকার। মা শাহীনুর আক্তার গৃহিণী। বাবার চাকরিসূত্রে প্রায় দুই দশক ধরে আছেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মুহুরিপাড়া উত্তরা আবাসিক এলাকায়। লেখাপড়া করেছেন স্থানীয় চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে। সেখান থেকেই এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।
ফুটবল নিয়ে মুনতাকিমের ভালোলাগা ২০১৮ থেকে। এরপর ২০২০ এর মহামারিতে সবকিছু যখন থমথমে, তখন তিনি এ সময়কে নিয়েছেন সুযোগ হিসেবে। সময় পেলেই হাতে নিয়েছেন ফুটবল, বাসার ছাদে ও কক্ষে অনুশীলন করেছেন নিয়মিত। পাশাপাশি বাংলাদেশে যারা ফ্রি-স্টাইল করে তাদের সঙ্গে পরিচয় হওয়া, পরামর্শ নেওয়া, ইউটিউব থেকে টিউটোরিয়াল দেখা সমানতালে চালিয়ে যান। এভাবে টানা দুই বছরের কসরতের পর ফ্রি-স্টাইল রপ্ত করেন মুনতাকিম।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুনতাকিম প্রথম বুঝতে পারেন তিনি গিনেস রেকর্ড করতে সক্ষম। কিন্তু কীভাবে আবেদন করতে হবে, তা তার জানা ছিল না। তখন তিনি যোগাযোগ করেন ফ্রি-স্টাইলে গিনেস রেকর্ডধারী চট্টগ্রামের আশরাফুল ইসলাম জোহান ও নোয়াখালীর কনক কর্মকারের সঙ্গে।
তাদের পরামর্শে ২০২১ সালের ১৯ মে গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। তারা একটা মানদণ্ড বেঁধে দেন। সেই অনুযায়ী ভিডিও ক্লিপ পাঠান ২১ জুনে। এর প্রায় পাঁচ মাস পর গিনেস কর্তৃপক্ষের থেকে অভিনন্দন বার্তা পান মুনতাকিম। সবশেষ ২৯ ডিসেম্বর কৃতিত্বের স্বীকৃতি সনদ হাতে আসে।
এটিভি বাংলা/জাহান
Leave a Reply