গত বুধবার দুদক কর্মচারী চাকুরী বিধিমালা ২০০৮ এর ৫৪(২) বিধি অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ উপ সহকারী পরিচালক শরিফ উদ্দিন কে চাকরি থেকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। সর্বশেষ পটুয়াখালী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন শরিফ উদ্দিন।
চাকরিচ্যুত উপ সহকারী পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, আমার দীর্ঘ সাত বছরেও চাকরি জীবনের বেশি সময় চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এলাকায় চাকরি করেছি৷ সে সময় আমি অনেক বড় বড় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাজ করেছি। বিশেষ করে চট্টগ্রামে জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ১৫৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়ে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম নিয়ে কাজ করেছি।
তিনি আরও জানান, পেট্রোবাংলার একটি প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পেট্রোবাংলার ডাইরেক্টর (প্লানিং) আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছে। এ কারণে গত ৩০শে জানুয়ারি (আইয়ুব খান) আমার বাসায় এসে আমাকে এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি অধিদপ্তরকে অবহিত করিছিলাম। তবে এক সপ্তাহ নয় তার একটু বেশি সময় লেগেছে। ১৬ দিনের মাথায় আমার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো। এর আগে আমাকে কোন ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়নি৷ এখন আমি অজ্ঞাত স্থানে আছি, যে কোন সময় গুম হয়ে যেতে পারি।
এদিকে দুদক কর্মচারী আইন ৫৪(২) ধারাকে কালো আইন দাবি করে এটি বাতিলসহ শরীফ উদ্দিনকে অসাংবিধানিকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুদকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এটিভি বাংলা/ফয়সাল
Leave a Reply