করোনা টিকা পেতে আর লাগবে না এসএমএস, মিলবে কেন্দ্রে গেলেই। ২৬শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া শেষ করতে চায় সরকার।
করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেতে আর এসএমএস লাগবে না। যারা টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন তারা ২৬শে ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রে গেলেই টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিনই শেষ হচ্ছে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেয়া। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে চায় সরকার।
করোনার ক্ষতি কমাতে মানুষকে টিকা দেয়া শুরু হয় গতবছরের ৭ই ফেব্রুয়ারি। লক্ষ্য ছিলো দেশের ৭০ ভাগ অর্থাৎ ১২ কোটি মানুষকে টিকার আত্ততায় আনার। এক বছরে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১০ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার ৮ শ ৯০ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮ শ ৬৩ জনকে। বুষ্টার ডোজ পেয়েছেন ২৭ লাখ ৯২ হাজার ৩৫ জন।
এমন অবস্থায় ২৬শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া শেষ করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার দুপুরে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, নিবন্ধন করেও যারা টিকার জন্য এসএমএস পাননি তারা কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাবেন।
তিনি বলেন, ২৬শে ফেব্রুয়ারি টিকা পেতে কোনও নিবন্ধন লাগবে না। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিছুই লাগবে না। যাদের আছে তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত টিকা কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবে। পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে। প্রথম ডোজের টিকাকে একটা ধারায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হবে।’
এছাড়া ২৬শে ফেব্রুয়ারি বড় কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ঐ দিন দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হবে। এজন্য ইউনিয়ন, পৌরসভা, জেলা ও সিটি কর্পোরেশনে একাধিক বুথ খোলা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক ডা, শামসুল হক বলেন,১ কোটি টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে দল থাকবে। সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে যেন তারা গিয়ে টিকা দিয়ে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ২৬শে ফেব্রুয়ারি হবে প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার শেষ তারিখ। তবে এর আগে যত বেশি সম্ভব মানুষকে আমরা টিকার আওতায় আনতে চাই।প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র থাকবে। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ এখন থেকে দেশব্যাপী যেকোনো কেন্দ্রে কোনো রেজিস্ট্রেশন বা নথিপত্র ছাড়াই প্রথম ডোজ করোনা টিকা নিতে পারবেন। ২৬শে ফেব্রুয়ারি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিতে রেজিস্ট্রেশন কিংবা জন্মনিবন্ধন লাগবে না।
এটিভি বাংলা/জামান
Leave a Reply