1. [email protected] : @nexttech :
  2. [email protected] : SM Solaiman : SM Solaiman
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

চীন-থাইল্যান্ড বাদে বেহাল এশীয় অর্থনীতি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৮৪ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চীন ও থাইল্যান্ড বাদে এশিয়ার অন্য সব দেশের অর্থনীতি বেহাল পরিস্থিতিতে আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী পত্রিকা ব্যাংকক পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রতিকূল পরিস্থিতি ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও চলতি বছর চীন ও থাইল্যান্ডের উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

আর্থিক সংস্থা অ্যাট্রাডিয়াসের পূর্বাভাস বলছে, এশিয়ার মধ্যে চীন ও থাইল্যান্ড ছাড়া এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সম্প্রতি অ্যাট্রাডিয়াসের ‘রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক এশিয়া’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কঠোর আর্থিক শর্ত, মূল্যস্ফীতি, দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশ ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এশিয়া স্পষ্টভাবে তার গতি হারাচ্ছে।

যদিও আশা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে চীন ও থাইল্যান্ড উচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দেখবে। তবে অঞ্চলের বাকি দেশগুলো সংকটপূর্ণ আর্থিক অবস্থার কারণে পিছিয়ে পড়তে পারে।

আমস্টারডামভিত্তিক কোম্পানির প্রধান অর্থনীতিবিদ বার্ট বার্গার বলেছেন, “এশীয় অর্থনীতিগুলো চলতি বছর পরিমিত প্রবৃদ্ধির পথে রয়েছে।”

উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে দশমিক ৭ শতাংশ ও দশমিক ৮ শতাংশে নেমে যাবে।

এদিকে শক্তিশালী স্থানীয় বাজার ও উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত। দেশটির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হতে পারে।

অন্যদিকে, ফিলিপাইন এ অঞ্চলে ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। আর থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৪ শতাংশ। তবে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে পিছিয়ে থাকবে ইন্দোনেশিয়া।

চীনা অর্থনীতি স্বল্পমেয়াদে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর কাঠামোগত বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা, কম উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খলের পরিবর্তন ও ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা চীনের অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। কোভিড মহামারী ও চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার ফলে ভারত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলো উপকৃত হচ্ছে।

এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক উৎপাদনের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকা এশিয়া ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। যার প্রভাবে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধি হ্রাসের শঙ্কা রয়েছে।

অ্যাট্রাডিয়াসের প্রত্যাশা, ২০২৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ও থাইল্যান্ডের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হবে।

এটিভি বাংলা / হৃদয়

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© 2022
কারিগরি সহায়তা: Next Tech