আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
একটি যাত্রীবাহী উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পাইলট বিমানটিকে ঘুরিয়ে রানওয়েতে দাঁড় করালেন। আর ঠিক সেই রানওয়েতেই পণ্যবাহী একটি বিমানকে অবতরণের অনুমতি দিয়েছিল এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল। যাত্রীবাহী বিমানটি তখনও রানওয়েতে দাঁড়িয়ে। তখন ঠিক ১০০ ফুট দূরে পণ্যবাহী বিমানটি।
যাত্রীবাহী বিমানটি একটু একটু করে গতি বাড়িয়ে রানওয়ে ধরে সামনের দিকে এগোতে শুরু করল। তখনও পাইলট জানেন না যে, অন্য একটি বিমান সেই রানওয়েতেই নেমে আসছে। যাত্রীবাহী বিমানের গতি বাড়ল, আর ঠিক সেই মুহূর্তেই সেটির ঘাড়ের কাছে চলে আসে পণ্যবাহী বিমানটি। নীচে রানওয়ে ধরে ছুটছে যাত্রীবাহী বিমান, আর সেটির মাথার উপরে পণ্যবাহী বিমানও সমান গতিতে এগোচ্ছে। প্রায় ঘাড়ের উপর অবতরণ করছিল সেটি। কিন্তু পাইলটের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পণ্যবাহী বিমানের মুখ ঘুরিয়ে দেন পাইলট। আর সেটির প্রায় গা ঘেঁষে বেরিয়ে আকাশে উড়ে যায় যাত্রীবাহী বিমানটি।
সম্প্রতি এমনই একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও নিরপেক্ষভাবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। তবে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি আমেরিকার অস্টিন বিমানবন্দরের। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে, যাত্রীবাহী বিমানের ছাড়ার সময় এবং পণ্যবাহী বিমানের অবতরণের সময় একই হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে একটি যাত্রীবাহী বিমান যে রানওয়েতে রয়েছে, সেটি না উড়া পর্যন্ত কেন অন্য বিমানকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে তদন্ত করছে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড-এর চেয়ারপারসন জেনিফার হোমেন্ডি বলেন, “পণ্যবাহী বিমানের পাইলটের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এতে বেঁচে যায় ১২৮ যাত্রীর প্রাণ।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply