খেলাধুলা প্রতিবেদক:
মঈন আলীর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানে হারালো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ জয়ে ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করলো কুমিল্লা। অন্যদিকে, হেরে প্লে-অফের পথ আরও কঠিন খুলনার। মুশফিকদের এখন চেয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের দিকে। টসটাই কেবল জিতলো খুলনা, ম্যাচের শুরু থেকেই লাগাম কুমিল্লার হাতে। লিটন ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ওপেনিং জুটিতে ৪৩ রান। জয় ১১ রান করে আউট হলেও মারমুখী ব্যাটে ১৭ বলে ৪১ রান লিটনের।
বোলিং, ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি, মেজাজেও বেসামাল তখন খুলনা। লিটনের ক্যাচ ড্রপের কারণে সতীর্থ খালেদ আহমেদের ওপর নাখোশ মুশফিক। লিটন আউট হতেই খালেদ উদযাপন করতে এলে ধাক্কা মারেন মুশফিক।
খানিক বাদে খালিদ ইমরুলের উইকেট নিয়ে হয়তো নিজের গ্লানি মোচন করেন। তবে ম্যাচের মোমেন্টাম ধরতে ব্যর্থ মুশফিক বাহিনী। মিরপুরের উইকেট ইংলিশ ব্যাটার মঈন আলীর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড খুলনার বোলিং। মেহেদী হাসানের এক ওভারই ৩ ছক্কার মার মঈনের। ১৩ ওভারেই ১০০ রান কুমিল্লার।
মাত্র ২৩ বলে ফিফটি করনে মঈন আলী। ডু প্লেসির সঙ্গে ৮৩ রানের মূল্যবান জুটি। কুমিল্লার রানের গতি আটকাতে ব্যর্থ খুলনা। প্লেসি ৩৮ করে ফেরেন, তবে মঈনের এক চার ও ৯টি ছক্কায় ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। কুমিল্লা তোলে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান।
বিশাল টার্গেটে নেমে প্রথম ওভারেই দুই ছক্কা হাকান আন্দ্রে ফ্লেচার। কিন্তু ওই পর্যন্তই। পরের ওভারে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের কাছে রনি ও ফ্লেচার আউট। ইয়াসির রাব্বি বা মুশফিক দু’জনই আউট ৪৪ রানের মাথায়। ব্যাট হাতে খুলনার হয়ে লড়াই করতে পারেনি কেউ।
কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভুগতে থাকা খুলনা ৬ উইকেট হারায় ৬৭ রানে। দলের হাল ধরতে ব্যর্থ খুলনা অলআউট হয় ১২৩ রানে।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও উজ্জ্বল পারফরম্যান্স মঈনের। ৪ ওভারে ২০ রানের খরচায় দুই উইকেট এ অফস্পিনারের। পেসার আবু হায়দার রনির শিকার ৪ ওভারে ১৯ রানে তিন উইকেট।
এ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিতভাবে সেরা দুইয়ে জায়গা পাকাপাকি হলো কুমিল্লার।
এটিভি বাংলা/তিশা
Leave a Reply