খুলনার জার্সিতে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই ঝড় তোলার আভাস দিয়েছিলেন আজম খান। কিন্তু আরাফাত সানির বাঁহাতি স্পিনে কাটা পড়ে সেই যাত্রায় ব্যর্থ হন। তবে এবার আর কোনো ভুল করলেন না। সতীর্থরা যেখানে রান তুলতে ভুগছিলেন সেখানেই চার-ছক্কার বৃষ্টি নামালেন আজম। তুলে নিলেন চলমান বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খুলনার জার্সিতে বিপিএলের নবম আসরের প্রথম আর সবমিলিয়ে বিপিএলের ২৬তম সেঞ্চুরি তুলে নেন আজম। শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টিতে এটিই পাকিস্তানি ব্যাটারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
খুলনার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাঠে নামেন আজম। তখন বোলার আবু জাহেদ রাহির বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে শুরু করেন ইনিংস। সেই মুহূর্তে উইকেটের আরেক প্রান্তে রান নিতে ভুগছিলেন খুলনার তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু আজম ছিলেন সাবলীল। ব্যাটিংয়ে ছিল না জড়তা। রান তুলতে ভুগতে থাকা খুলনার ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তামিমের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৯২ রানের জুটি। এর মধ্যে ৩৩ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। মাঝে তামিম ফিরে গেলেও উইকেটে থিতু হয়ে বোলারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান আজম। এরপর শেষ ওভারে এসে মেলান শতকের সমীকরণ।
খুলনার শেষ ওভারে যখন আর বাকি ৩ বল তখনও সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে ছিলেন আজম। চাপমুক্ত থেকে ৯৩ থেকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পৌঁছে যান ৯৭ এর ঘরে। এরপর মৃত্যুঞ্জয়ের করা বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। ৩৩ বলে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া আজমের দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছুঁতে লাগে ২৪ বল। সবমিলে ১০০ করতে লাগে ৫৭ বল। ওভারের শেষ বলেও শেরেবাংলা দেখল আজমের চমক। শেষ বলেও ছক্কা হাঁকিয়ে ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন আজম। ৯ বাউন্ডারি আর ৮ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। আজমের ব্যাটে চড়েই খুলনা পেয়ে যায় ১৭৮ রানের পুঁজি।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply