ঢাকায় গণসমাবেশের স্থান নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই বৈঠকে বসেছেন তাঁরা। ‘গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটি’র উপদেষ্টা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় এই বৈঠকে চলছে।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। সেই সময় তিনি বলেন, ‘আমরা দুই ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি—আমাদের কার্যালয় খুলে দিতে হবে। তারা বলেছেন আপনারা কার্যালয়ে যেতে পারেন।’
বুলু বলেন, ‘পরে শনিবারের সমাবেশের ভেন্যুর আমরা আরামবাগ বলেছি, তারা রাজি হয়নি। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের কথা বলেছি, সেটাও তারা রাজি হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারা (ডিএমপি) প্রস্তাব করেছেন, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠ। আমরা সেখানে যাব, পরিদর্শন করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’
বৈঠকের বিষয়ে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডিএমপির সদরদপ্তরে এসেছিলেন। দুই ঘণ্টা সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সমাবেশের জন্য দুটি ভেন্যু নিয়ে কথা হয়েছে। একটি হলো কমলাপুর স্টেডিয়াম। অন্যটি হলো মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ। কালসিতে তারা রাজি নয়। আমরা দুটি স্থানই দেখব। উনারাও দেখবেন। এই দুটোর মধ্যে একটা ভেন্যু নির্ধারণ হবে।’
হারুণ বলেন, ‘ভেন্যু নিয়ে উনাদের সঙ্গে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল, সেটা আগামীকাল কেটে যাবে। আজ রাত অথবা আগামীকাল সকালে আমরা ভেন্যু পরিদর্শন করব। এই দুই ভেন্যুর মধ্যে একটিতে সমাবেশ হবে, আমরা ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’
জানা গেছে, বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply