রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘাতে জড়াল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট :
এক যুগেরও বেশি সময়ের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। দুই দেশের বিতর্কিত সীমান্ত জুড়ে স্থলবাহিনী, ট্যাঙ্ক, কামান নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে ১২ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।

‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ নামে পরিচিত একটি এলাকাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা বিবাদ হঠাৎ করেই নাটকীয় মোড় নিয়ে সহিংসতার পথে গিয়ে ঠেকেছে। এই অঞ্চলটি থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওসের সীমান্ত জুড়ে বিস্তৃত। ১৫ বছর আগে কয়েক যুগের বিবাদ রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নিয়েছিল এবং গত মে মাসে বন্দুকযুদ্ধে একজন কম্বোডিয়ান সেনাসদস্য নিহত হলে তা আবারও সংঘাতে এসে ঠেকে।

বৃহস্পতিবারের সংঘাতে কম্বোডিয়া রকেট, কামানের গোলা নিয়ে থাইল্যান্ডে আক্রমণ চালায়। পাল্টা হামলায় থাইল্যান্ড বিমান হালা চালায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে।

থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিসাকেত প্রদেশের একটি পেট্রল স্টেশনের কাছে কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় একজন সৈন্য ও কমপক্ষে ১১ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩৫ জন বেসামরিক লোক।

এদিকে, এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ছয়টি স্থানে সংঘাত চলছে বলে জানিয়েছে থাই সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার দুটি সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে থাই বিমান বাহিনীর ছয়টি জেট হামলায় অংশ নিয়েছে।

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে দুটি উপাসনালয়ের কাছে এই সংঘাত শুরু হয় এবং এটি শুরু করার জন্য একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে আসছে দেশ দুটি।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বাহিনী নিজেদের রক্ষায় থাইল্যান্ডের ‘সশস্ত্র হামলার’ জবাব দিয়েছে।

এদিকে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত তার দেশে ‘বিনা উসকানিতে সামরিক আগ্রাসনের’ জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের সরকার কম্বোডিয়াকে ‘অমানবিক, নিষ্ঠুর ও যুদ্ধের জন্য ক্ষুধার্ত’ হিসেবে অভিহিত করে সীমান্তের সবগুলো ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে ও সেখানকার অধিবাসীদের সরিয়ে নিয়েছে।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *