মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে গত বুধবার (৯ জুলাই) ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আরেক আসামি মো. নুন্নু কাজীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১৪ জুলাই) দিনগত রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নান্নু এ হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) র‌্যাব-১১ এর উপ-পরিদর্শক (মিডিয়া) উজ্জ্বল আচার্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নৃশংসভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উজ্জ্বল আচার্য বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নান্নু কাজী নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে তার মামার বাড়ি থেকে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামিকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার জন্য র‍্যাব-১০ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।

সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫ থেকে ২০ জনকে।

এটিভি বাংলা / হৃদয়


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *