ডেস্ক রিপোর্ট :
অভিবাসনবিষয়ক আদালতে গত বুধবার শুনানির পর একজনকে হেফাজতে নেন ফেডারেল এজেন্টরা। ছবি: রস ডি. ফ্র্যাংকলিন/এপি/ওয়াশিংটন পোস্ট 0
চলতি সপ্তাহে অ্যামেরিকাজুড়ে আদালত ভবনগুলোতে অভিযানে যান মাস্ক পরা কর্মকর্তারা। তারা অভিবাসনবিষয়ক শুনানিতে আসা অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর অভিবাসী বিতাড়নকে এজেন্ডার শীর্ষে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে দেশজুড়ে অভিবাসী ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো। এ তৎপরতায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে আদালত এলাকা থেকে অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি সপ্তাহে অ্যামেরিকাজুড়ে আদালত ভবনগুলোতে অভিযানে যান মাস্ক পরা কর্মকর্তারা। তারা অভিবাসনবিষয়ক শুনানিতে আসা অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করেন। বিতাড়ন চেষ্টাকে ব্যাপকভাবে ত্বরান্বিত করতে ফেডারেল কর্মকর্তাদের নতুন নির্দেশনার আলোকে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, অ্যারিজোনা, ভার্জিনিয়ার পাশাপাশি ২০টির বেশি স্টেইটে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট—আইস কর্মকর্তাদের চলতি মাসে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশনার একটি নথি এসেছে ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে।
এতে বলা হয়েছে, বিচারকরা বিতাড়নের আদেশ দিলে কিংবা প্রসিকিউটররা মামলা বাতিলের পথে এগোলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করতে হবে অভিবাসীদের।
মামলা খারিজ হওয়া এবং দুই বছরের কম সময় ধরে অ্যামেরিকায় থাকা অভিবাসীদের ত্বরিত গতিতে বিতাড়নের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ প্রক্রিয়ায় অভিবাসীদের বিচারকের মুখোমুখি করে শুনানিতে অংশগ্রহণকে যুক্ত করা হয়নি।
অ্যামেরিকা থেকে তড়িঘড়ি করে লোকজনকে বের করে দিতে ফেডারেল সরকারের সর্বশেষ চেষ্টা হলো সমন্বিত অভিযান। এ কাজে দরকার হলে আদালতকে পাশ কাটাবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মিলিয়ন মিলিয়ন অনথিবদ্ধ অভিবাসীকে বিতাড়নে ট্রাম্প যে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটি রক্ষা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে হোয়াইট হাউযের। সে উদ্বেগ দূর করতেই ত্বরিত বিতাড়নে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, জো বাইডেনের ‘ধরে ছেড়ে দাও’ নীতির ফলে অ্যামেরিকার সড়কগুলোতে অবাধে বিচরণ করতে পেরেছিল অযাচাইকৃত মিলিয়ন মিলিয়ন বিদেশি। সে নীতির বিপরীত কাজ করছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি এল. নোয়েম। বর্তমানে আইস আইন মেনে এসব অবৈধ বিদেশিকে ত্বরিত বিতাড়নের ব্যবস্থা করছে। এমনটিই হওয়া উচিত ছিল সবসময়।
এটিভি বাংলা / হৃদয়
Leave a Reply